শেষ আপডেট: 10th July 2024 11:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এজেন্টের মাধ্যমে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকের কাছ থেকে গড়ে ৫০ হাজার টাকা করে কমিশন নিয়েছিলেন অয়ন শীলের এজেন্টরা। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জশিটে এমনটাই জানিয়েছে সিবিআই।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের দাবি, কলকাতা-সহ ১৬টি পুরসভায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে অনেকে চাকরি পেয়েছেন। মিডলম্যান হিসেবে কাজ করেছেন প্রমোটার অয়ন শীলের সঙ্গীরা। মঙ্গলবারই নিজাম প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছিল অয়নের সঙ্গী দেবেশ চক্রবর্তীকে। মিডলম্যান হিসাবে আর কে কে কাজ করতেন, কার কাছ থেকে টাকা নিয়ে কার হাতে দিতেন, এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য জেরার সময় দেবেশের কাছ থেকে জানতে চান তদন্তকারীরা। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়।
চার্জশিটে শমীক চৌধুরী নামে একজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। সিবিআইয়ের দাবি, অয়নের বন্ধু এবং এজেন্ট ছিলেন এই শমীক। ১০-১২ জনকে বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি দিয়েছেন তিনি। দেবেশ চক্রবর্তী ওরফে কানুদার মাধ্যমেও অর্থের বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন অন্তত ১৪ জন চাকরিপ্রার্থী। এদের প্রত্যেকের কাছ থেকেই ৫০ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন তাঁরা।
পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের চার্জশিটে নাম রয়েছে দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাঁচুৃগোপাল রায় ও ‘মিডলম্যান’ অয়ন শীলের। সিবিআইয়ের চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনার সময় দক্ষিণ দমদম পুরসভায় হঠাৎ করেই ২৯ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এই নিয়োগ কোনওভাবেই স্বচ্ছতা বজায় রেখে হয়নি। টাকা পয়সা লেনদেন করেই নিয়োগ হয়েছিল।
গত বছরের ২০ মার্চ নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়নকে গ্রেফতার করে ইডি। তার আগেই এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অয়ন ছিলেন শান্তনুর খুবই ঘনিষ্ঠ। অয়নের চুঁচুড়ার জগুদাস পাড়ার বাড়ি, ফ্ল্যাট এবং অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। জেরা করা হয় তাঁর মা-বাবাকেও। তাঁর বাড়ি থেকে মেলা একাধিক নথিতে বাবা সদানন্দ শীলকে দিয়ে সই করান ইডির আধিকারিকরা। পরে অয়নকে সিবিআই হেফাজতে নেয়।