শেষ আপডেট: 21st September 2024 12:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দক্ষিণবঙ্গ বন্যার কবলে। জাতীয় সড়ক দিয়ে জল ঢুকছে জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘আমি চাই না জলে ডুবে যাক গাড়ি’। তার পরপরই পণ্যবাহী গাড়ি ঢোকায় নিয়ন্ত্রণ টানা হয়। যার জেরে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে যায় কয়েক হাজার পণ্যবাহী লরি, ট্রাক। শুরু হয় বিক্ষোভ।
এবার দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সেই পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানা দিয়ে যানচলাচল শুরু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে পণ্যবাহী গাড়ি নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই পশ্চিম বর্ধমান সীমানা দিয়ে যাবতীয় পণ্যবাহী গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। কিছু গাড়ি ফেরত পাঠানো হয় ঝাড়খণ্ডে। পরিস্থিতি এমনই জটিল হয়ে যায়, হাজার হাজার গাড়ি ঝাড়খণ্ডের নিরশা, কুমারডুবির বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। এর পরই শুরু হয় বিক্ষোভ।
দুপুরে কুলটির বিজেপি বিধায়ক অজয় পোদ্দার পশ্চিম বর্ধমানের ডুবুরডিহি চেকপোস্টে গিয়ে চালকদের সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হন। মোতায়েন করা হয় ব্যাপক পুলিশ।
যদিও আপৎকালীন পরিষেবা যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য প্রশাসন ছোট গাড়ি ও চিহ্নিত করা কিছু ট্রাককে ছাড়তে শুরু করে।
পশ্চিম বর্ধমান প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেলে পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে ডিসি ট্রাফিক সহ উচ্চপদস্থ কর্তারা এসে যান চলাচলের ওপর নিয়ন্ত্রণ তুলে নেয়।