শেষ আপডেট: 26th October 2024 13:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ যে ঠিকাদার সংস্থাকে ব্ল্যাক লিস্টে রেখেছে সেই সংস্থায় কীভাবে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বরাত পেল? বড় প্রশ্ন তুললেন মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডেপুটি সুপার আখতার আলি।
এও বললেন, "বুঝতে পারছি, আরজি করের মতো এখানেও বড়সড় দুর্নীতি চক্র গজিয়ে উঠেছে। তবে আমি থাকতে দ্বিতীয় সন্দীপ ঘোষ তৈরি হতে দেব না!"
কী দুর্নীতি?
আখতার সাহেবের অভিযোগ, ২০২০ সালে কোভিডের সময় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছিল। যারা কাজ পেয়েছিলেন তাঁরাই পরে টাকা দেওয়ার অভিযোগ আনেন। পরে তাঁদেরকে সরিয়ে দিয়ে একটি ঠিকাদার সংস্থাকে কাজের বরাত দেওয়া হয়। যে সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছে তাদেরকে বর্ধমান মেডিক্যাল আগেই ব্ল্যাক লিস্ট করেছে।
যদিও মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালের দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ অমিত দাঁ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
আরজি করের সঙ্গে কীভাবে নাম জড়াল আখতার আলির?
গত ৮ অগস্ট গভীর রাতে আরজি করে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটে। এরপরই হাসপাতালে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করে। সব অভিযোগেরই কেন্দ্রে ছিলেন প্রাক্তন প্রিন্সিপাল ডক্টর সন্দীপ ঘোষ। তিনিই নানা বিষয়ে হাসপাতালকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘরে পরিণত করেছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।
এ ব্যাাপারে সন্দীপের বিরুদ্ধে আগেই সরব হয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। আখতার সাহেবের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালতের নির্দেশে ওই ঘটনার তদন্তে নেমেছে সিবিআই। যার জেরে আপাতত গরাদে রাত কাটছে সন্দীপ ঘোষের। এবার মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালের দুর্নীতি নিয়েও সরব হয়েছেন এই প্রতিবাদী সুপার।