উত্তরবঙ্গে (Uttarbanga) বাংলাদেশে (Bangladesh)র নাকের ডগায় মহড়া দিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। তিন দিন ধরে চলা এই অভিযানের নাম রাখা হয় 'তিস্তা প্রহার' (Tista Prahar)।
তিস্তা প্রহার
শেষ আপডেট: 16 May 2025 00:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তরবঙ্গে (Uttarbanga) বাংলাদেশে (Bangladesh)র নাকের ডগায় মহড়া দিল ভারতীয় সেনা (Indian Army)। তিন দিন ধরে চলা এই অভিযানের নাম রাখা হয় 'তিস্তা প্রহার' (Tista Prahar)। শিলিগুড়ির অদূরে বহু চর্চিত চিকেন নেক সহ আশপাশে পদাতিক ও গোলন্দাজ বাহিনী এবং বিমান বাহিনী অত্যাধুনিক অস্ত্র-সহ মহড়া দেয়। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে 'অপারেশন সিঁদুর'-(Operation Sindoor) এর পর পূর্ব সীমান্তের মহড়া নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে।
বাহিনীর বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে যুদ্ধকালীন সমন্বয় একেবারে নিখুঁতভাবে তুলে ধরতে সেনার এই মহড়া যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা বাহিনীর তরফে জারি করা প্রেস বার্তায় উল্লেখ করা হয়েছে।
কূটনৈতিক ও সমর বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ভারতীয় সেনার এমন কার্যক্রম রুটিন মহড়া নয়। সেনার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বাংলাদেশকে বার্তা দেওয়াও উদ্দেশ্য। সাম্প্রতিক অতীতে বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি সুত্র থেকে বারে বারে চিকেন নেককে ভারতের নিরাপত্তার হুমকি হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে৷ এমনকী চিকেন নেক দখল করে উত্তর পূর্ব ভারতকে সমতল থেকে আলাদা করার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সুরে চিনকে পাশে পাওয়ার দাবিও করা হয় বাংলাদেশের তরফে। পাশাপাশি বাংলাদেশের অভ্যন্তর থেকে ভারত বিরোধী সুর চড়া হয়েছে সাম্প্রতিক অতীতে। মৌলবাদী এবং জঙ্গি সংগঠনগুলি অতিসক্রিয় হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের মাটিতে অপারেশন সিঁদুর এর পর বাংলাদেশের সীমান্ত ঘেঁষে ভারতীয় সেনার তিস্তা প্রহার বা তিস্তার মার পূর্ব প্রান্তের পড়শি দেশটিকে সতর্কবার্তা।
তিনদিনের এই ‘তিস্তা প্রহার’ মহড়ায় ভারতীয় সেনার ইনফ্যানট্রি, আর্টিলারি, আর্মড কর্পস, আর্মি অ্যাভিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স এবং সিগনালস অংশগ্রহণ করেছিল। ভারতীয় সেনার অস্ত্রভান্ডারে সদ্য নিয়োজিত 'নেক্সট জেনারেশন' অস্ত্রশস্ত্র, মিলিটারি প্ল্যাটফর্মস এবং যুদ্ধক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তির সঠিক প্রয়োগের মতো গুরুত্ব দিয়ে তিনদিনের মহড়ায় তুলে ধরা হয়।
এছাড়াও প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাইয়ে দ্রুততার সঙ্গে বাহিনীর প্রতিটি বিভাগের মধ্যে নিখুঁত সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রতিপক্ষকে নাস্তানাবুদ করতে কীভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় সেই প্রক্রিয়াতেও শান দেওয়া হয়েছে।
তিনদিনের 'তিস্তা প্রহার' মহড়া শেষে সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ডের তরফে প্রেস বার্তায় দাবি করা হয়েছে, যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভারতীয় সেনা একশো শতাংশ প্রস্তুত।