শেষ আপডেট: 24th January 2025 13:20
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রীর ধমকে কাজ হল। রাতারাতি রাজ্যর সব বনাঞ্চলে প্রবেশমূল্য প্রত্যাহার করে নিল বন দফতর। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ২৩ জানুয়ারি থেকেই বন দফতরের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন থেকে বনাঞ্চলে প্রবেশের জন্য কোনও প্রবেশ মূল্য দিতে হবে না।
তবে নেতাজির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে শুধুমাত্র ২৩ জানুয়ারির জন্য বন দফতরের তরফে ওই ছাড় দেওয়া হয়েছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে শুক্রবারও দেখা গেল, বক্সা-সহ রাজ্যের প্রধান বনাঞ্চলগুলিকে প্রবেশের ক্ষেত্রে আর এন্ট্রি ফি দিতে হচ্ছে না। জানা যাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে প্রবেশ মূল্য ফ্রি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সূত্রপাত, পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে বুধবার আলিপুরদুয়ারের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। সুমন মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, "উত্তরবঙ্গের রাজাভাতখাওয়া রাজ্যের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। অথচ সেখানে প্রবেশ করার জন্য পর্যটকদের মাথা পিছু প্রায় আড়াই হাজার টাকা নেওয়া হচ্ছে!"
একথা শুনে যারপরনাই ক্ষুব্ধ মমতা বন দফতরের কাছে জানতে চান, "কার অনুমতিতে এসব হচ্ছে! বন দফতরের এক কর্তা জানান, "এই নিয়মই চলে আসছে!" পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, "এটা জমিদারি নাকি? গায়ের জোর?"
এরপরই মুখ্যসচিবের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, "ইমিডিয়েট চেঞ্জ করো। এত টাকা নিলে কেন পর্যটক আসবে?" এ প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, "ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট নিজেদের ভগবান মনে করে। এই জিনিস বরদাস্ত করব না। জঙ্গলের অধিকার সকলের।"
জানা যাচ্ছে, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের হুঁশিয়ারির পরই নড়েচড়ে বসে বন দফতর। স্বভাবতই, উচ্ছ্বসিত পর্যটকরা। তাঁদের অনেকের মতে, এরকম অনেক বিষয়ই রয়েছে, যেগুলি মুখ্যমন্ত্রীর নজরে না আসার ফলে যা খুশি তাই হয়ে চলছে।