Advertisement
ফাইল চিত্র
Advertisement
শেষ আপডেট: 27 February 2025 15:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পানাগড় কাণ্ডে (Panagarh Accident Case) গ্রেফতার হয়েছেন মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদব (Bablu Yadav)। যে সাদা গাড়ি নিহত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের (Sutandra Chatterjee) গাড়িকে ধাওয়া করছিল তা চালাচ্ছিলেন এই বাবলুই। তিনি ওই গাড়ির মালিকও বলে জানা গেছে। তবে গ্রেফতারি হলেও পুলিশের ভূমিকায় খুশি নন মৃতার মা। কী বলছেন তিনি?
পানাগড়ের কাঁকসায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় নৃত্যশিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের (Sutandra Chatterjee)। অভিযোগ, দুর্গাপুরের বুদবুদের একটি পেট্রোল পাম্পে তেল ভরার পর তাদের গাড়িকে ধাওয়া করে একটি সাদা গাড়ি। যে গাড়িতে কয়েকজন মদ্যপ ছিলেন। সুতন্দ্রাকে নিয়ে কটূক্তি করতে থাকে তারা। এরপরই ধাওয়া করলে দুর্ঘটনায় পড়ে সুতন্দ্রার গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার প্রায় ৪ দিনের মাথায় বাবলু গ্রেফতার হয়েছে। তবে সুতন্দ্রার মায়ের কথায়, 'গাড়িতে তো আরও অনেকে...'
আসানসোলের নিঘা থেকে বাবলুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ দাবি করেছিল, ঘটনায় কটূক্তির কোনও উল্লেখ নেই। রেষারেষির কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে। তখন থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল মৃতার পরিবার। কেন পুলিশ আগেভাগে তাড়াহুড়ো করে এই ঘটনাকে রেষারেষি বলে চালাতে চাইছে, সেই প্রশ্ন করা হয়েছিল। এবার বাবলু গ্রেফতার হতে সুতন্দ্রার মায়ের প্রশ্ন, ''সাদা গাড়িতে তো আরও অনেকে ছিলেন। তাঁদের কেন এখনও গ্রেফতার করা গেল না?''
পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে জানিয়েছিল, বাবলু পানাগড়েরই বাসিন্দা এবং তার গাড়ির ব্যবসা রয়েছে। বাবলুর বাড়িতেও হানা দিয়েছিল তাঁরা। তবে সেখানে কাউকে পায়নি। কিন্তু প্রশ্ন, এতকিছু জানার পরও কেন বাবলুকে ধরতে পুলিশের এত সময় লেগে গেল। সুতন্দ্রার মা বলছেন, মেয়ের গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। আদতে সে রাতে কী ঘটেছিল তা জানুক পুলিশ। তিনি স্বচ্ছ তদন্তের দাবি করেছেন।
সুতন্দ্রার পরিবার সাফ জানাচ্ছে, এটি নিছক রেষারেষির জেরে দুর্ঘটনার ঘটনা নয়। ধাওয়া করা গাড়ি থেকে মদের গ্লাস পাওয়া গেছে। আর সুতন্দ্রার গাড়ির চালকও ইভটিজিং-এর কথা বলেছেন। তিনি রেষারেষি করার লোক নন বলেও জানিয়েছেন সুতন্দ্রার মা।
মদ্যপানের বিষয়টি নিশ্চিত করতে গেলে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার নমুনা সংগ্রহ করতে হত। এখন সে সময় পেরিয়ে গেছে। তাই এখন বাবলুকে গ্রেফতার করা হলেও আদতে এই ঘটনায় বিচার মিলবে কিনা, তা ভাবাচ্ছে মৃতার পরিবারকে।
Advertisement
Advertisement