শেষ আপডেট: 9th January 2025 13:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মালদহের নেতা দুলাল সরকারকে খুনের ঘটনায় তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি ও স্বপন শর্মাকে বুধবার গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপরই এ ব্যাপারে বড় পদক্ষেপ করাল শাসকদল।
ধৃত তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি দলের টাউন সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি পদে ছিলেন। এদিন দলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নেতা খুনের অভিযোগে নাম জড়ানোয় নরেন্দ্রনাথকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হল।
গত ২ জানুয়ারি ইংরেজবাজারে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছিলেন দুলালবাবু। কাজকর্ম সেরে পার্টি অফিস থেকে বেরিয়ে নিজের ফ্যাক্টরির দিকে রওনা হন। সেখানেই মোটরবাইকে আসা তিন দুষ্কৃতী তাঁকে তাড়া করে। এরপর দুলালবাবুকে লক্ষ্য করে পরপর ৪ রাউন্ড গুলি ছোড়ে তারা। তিনটি গুলি লাগে দুলালবাবুর। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। গুলি শব্দ ও আর্তনাদ শুনে দলের কর্মীরা ছুটে আসে। তাঁরাই তাঁকে মালদহ মেডিক্য়াল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় মঙ্গলবারই দলের টাউন সভাপতি তথা হিন্দি সেলের জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে ইংরেজবাজার থানায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠানো হয়। জেরা করা হয় নরেন্দ্রনাথের দুই ভাই ধীরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি এবং অখিলেশ তিওয়ারিকেও। বেশি রাতে গ্রেফতার করা হয় নরেন্দ্রনাথকে। তারপর থেকেই তোলপাড় মালদহ জেলা। এবার অভিযুক্ত নেতাকে আপাতত ৬ বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড করল নেতৃত্ব।
যদিও ধৃত তৃণমূল নেতা নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি বা তাঁর পরিবারের দাবি, চক্রান্ত করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। উঠে আসছে গোষ্ঠী কোন্দলের প্রসঙ্গও। যদিও এ ব্যাপারে দলের রাজ্য সহ সভাপতি তথা ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, "এটা পুরোপুরি ব্যক্তিগত ঝামেলা। ২০২২ সালের গন্ডগোলের পর থেকেই দুজনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। দুলাল সরকারকে হুমকি দিতেও শোনা গেছে নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারিকে। এর সঙ্গে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও সম্পর্ক নেই।"