শুভেন্দু অধিকারী।
শেষ আপডেট: 11th March 2025 13:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ১০ মাস পর বাংলার ক্ষমতায় আসবে বিজেপি (BJP)। শুধু এটুকু ভবিষ্যদ্বাণীতে সীমাবদ্ধ না থেকে মঙ্গলবার বিধানসভার বাইরে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এও জানিয়ে দিলেন, ক্ষমতায় আসার পর বিজেপির 'এজেন্ডা' কী হবে!
শুভেন্দুর কথায়, "আগামী বিধানসভা ভোটে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman banerjee), মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata banerjee) হারাব। আর ওদের দলের যে সব মুসলিম বিধায়ক জিতে আসবে তাদের চ্যাংদোলা করে ১০ মাস পরে এই রাস্তায় ফেলব!"
তৃণমূলের সরকারকে 'সাম্প্রদায়িক সরকার', 'সাম্প্রদায়িক পুলিশ', 'মুসলিম লিগ টু' সম্বোধন করে বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, "বিধানসভার ভেতরে যা হচ্ছে তা শুধু বেপরোয়া নয়, অসাংবিধানিক। এরা বাংলার হিন্দু জনগণকে উপড়ে ফেলতে চাইছে। এই ঔদ্ধত্য দিল্লিতে কেজরিওয়াল করেছিল বলে ওখানকার মানুষ আপকে উপড়ে ফেলেছে। আগামী বছর বাংলাতেও তাই হবে।"
ধর্মীয় স্থান রক্ষা করার জন্য সংবিধানে উল্লেখ করা হলেও বাংলায় তা লঙ্ঘিত হচ্ছে। এই অভিযোগে এদিন বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন বিজেপি বিধায়করা। প্রতিবাদ জানান শাসকদলের বিধায়করা। অধ্যক্ষ বিজেপির প্রস্তাব খারিজ করে দেন। এরপরই শুরু হয় বিক্ষোভ।
পদ্ম শিবিরের বিধায়করা দাবি করেন, বিষয়টি বিধানসভার রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তাতে রাজি হননি স্পিকার। এরপরই ওয়ালে নেমে কাগজ ছিঁড়ে বিধানসভা কক্ষ ত্যাগ করেন বিজেপি বিধায়করা।
পরে এ বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিরোধী দলনেতা বলেন, "এই সরকার ধর্মের নামে সঙ্কীর্ণ রাজনীতি করছে। বিধানসভায় বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।" স্পিকারের একটা চোখ বন্ধ বলেও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দুর অভিযোগ, গত চার পাঁচদিন ধরে বারুইপুর, তমলুকের শ্রীরামপুর এবং বসিরহাটে একাধিক হিন্দু মন্দির ভাঙা হয়েছে, মূর্তি ভাঙা হয়েছে। পুলিশ একজনকেও গ্রেফতার করেনি। এমনকী মুর্শিদাবাদে হিন্দু জনতার বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বিরোধী দলনেতা বলেন, "সংবিধানে ধর্মীয় স্থান রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। অথচ বাংলায় তা লঙ্ঘিত হচ্ছে। এ নিয়ে আমরা বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিলাম। ওরা গায়ের জোরে তা খারিজ করেছে।" এরপরই তৃণমূলের জিতে আসা মুসলিম বিধায়কদের চ্যাংদোলা করে বিধানসভার বাইরে ফেলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু। যা নিয়ে তীব্র শোরগোল তৈরি হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। পাল্টা হিসেবে শাসকদল কী প্রতিক্রিয়া জানায়, সেটাই দেখার।