শেষ আপডেট: 11th June 2018 11:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ব্যাট হাতে এখন আর আগের মতো মাঠ দাপাতে পারেন না তিনি। তবে বল হাতে দুর্দান্ত। প্রতিবার উইকেট শিকার করে হাত উপরে তুলে দুই আঙুলে ‘ভি’ দেখিয়ে উল্লাস প্রকাশ করেন তিনি। সেটাই পাকিস্তানের ক্রিকেটার শহিদ আফ্রিদির স্টাইল স্টেটমেন্ট। ঠিক তেমনটাই নিজের ঘরে অনুকরণ করে, আফ্রিদির ছোট্ট মেয়ে। আর সেই ছবিই টুইটারে পোস্ট করেন বাবা। এর পরেই সমালোচনায় ফেটে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া।
কী ছিল সেই ছবিতে?
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, আফ্রিদি-কন্যার পিছনেই রয়েছে লোহার চেন দিয়ে বাঁধা একটি সিংহ! ঘরে বন্যপ্রাণী পোষা আইনত নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও তিনি কী করে এমনটা করছেন এবং তা প্রকাশ্যে টুইট করছেন, তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
এই ছবিটি ছাড়াও আফ্রিদির সেই টুইটে ছিল আরও একটি ছবি। একটি হরিণ ছানাকে কোলে করে দুধ খাওয়াচ্ছেন তিনি। দু’টো ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “ভালবাসার মানুষের সঙ্গে সময় কাটানো ভীষণই আনন্দের। আর সব চেয়ে মজা লাগছে, আমার মেয়ে আমাকেই নকল করছে! এবং সেই সঙ্গে অবশ্যই প্রাণীদের যত্ন নিন, আমাদের ভালবাসা এবং যত্ন ওদেরও প্রাপ্য।”
ছবিতে অবশ্য ওই সিংহকে দেখেই বোঝা যায় সে বেশ দুর্বল, চুপ করে শুয়ে আছে মেঝেতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্ন উঠেছে, যিনি প্রাণীদের যত্ন নেওয়ার কথা বলছেন, তিনি বাস্তবে এমন করছেন কী ভাবে? পশুদের প্রাকৃতিক বাসস্থান অরণ্য। ঘর নয়। এক জন লিখেছেন, “সিংহকে চেন দিয়ে বেঁধে রাখা অমানবিক। বন্যপ্রাণ-সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো কোথায় এখন? বন্যপ্রাণীদের উপর যাঁর এতটুকু সমবেদনা নেই তাঁর জনপ্রিয়তা এবং প্রতিপত্তিতে ধিক্কার।”
আর এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, “নিজেকে পশুপ্রেমী হিসেবে তুলে ধরছেন, আর অন্য দিকে বন্যপ্রাণীদের তাদের স্বাভাবিক বাসস্থান থেকে বঞ্চিত করছেন। সিংহটাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। ওর জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে।”
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও আফ্রিদি পোষ্য সিংহের সঙ্গে ছবি পোস্ট করেছেন। তাঁর টুইটার অ্যকাউন্টে সেই ছবিও আছে। এত সমালোচনার কোনও প্রত্যুত্তর অবশ্য আফ্রিদি এখনও দেননি। পশু সুরক্ষা আইন অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, তা-ও এখনও জানা যায়নি।
দেখে নিন আফ্রিদির সেই টুইট।
https://twitter.com/SAfridiOfficial/status/1005488474139648007