শেষ আপডেট: 12th March 2025 20:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নাবালিকা বিয়ে ঠেকাতে (Underage Marriage) সচেতনতার প্রচারকেই এবার অন্য কৌশলে কাজে লাগাল প্রশাসন। সেই সূত্রে হাতে গরম সুফলও মিলছে। এমনটাই দাবি, পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের (East Burdwan Administration)।
প্রশাসনের দাবি, নয়া কৌশলকে কাজে লাগিয়ে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম, গলসি-সহ বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করা গেছে।
কী সেই কৌশল?
জেলা প্রশাসন জানাচ্ছে, নাবালিকা বিয়ে ঠেকাতে গ্রামে গ্রামে সচেতনতার প্রচার করা হয়েছিল। তখনই প্রশাসনের তরফে এলাকার কিছু শিক্ষক, সাধারণ মানুষের নম্বর নেওয়া হয়েছিল। খবর জানানোর জন্য তাঁদের দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনিক নম্বরও। কীভাবে গোয়েন্দাগিরি করতে হবে, তা আগ্রহী মানুষকে পরে হাতে কলমে বোঝানোও হয়েছিল।
তার ফল স্বরূপ, কোথাও সানাইয়ের সুর কানে এলেই সতর্ক হয়ে যাচ্ছেন সংশ্লিষ্ট 'গোয়েন্দারা'। খোঁজ খবর নিয়ে হিতে বিপরীত দেখলেই ফোন যাচ্ছে প্রশাসনের কাছে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে ছদ্মবেশে বিয়েবাড়ির মঞ্চেও পৌঁছে যাচ্ছেন তাঁরা।
মোবাইলের অপর প্রান্ত থেকে ফোন ভেসে আসছে, 'স্যার, শিগগিরি আসুন, নাবালিকার বিয়ে হচ্ছে'। কালক্ষেপ না করে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যাচ্ছে প্রশাসনও। তবে সব ক্ষেত্রে সঠিক খবর মিলছে, এমনটাও নয়।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানি বলেন, "সচেতনতায় কাজ দিচ্ছে। স্থানীয়দের একাংশ আমাদের কাছে সঠিক খবর পোঁছে দিচ্ছেন বলেই সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক নাবালিকার বিয়ে বন্ধ করা গেছে।"
তবে জোর জুলুম নয়, বিয়ে বন্ধের পাশাপাশি প্রশাসনের তরফে এলাকায় গিয়ে সংশ্লিষ্ট পরিবারগুলিকে বোঝানো হচ্ছে, কেন ১৮ বছরের আগে বিয়ে দেওয়া উচিত নয়। দিলে কী কী শারীরিক সমস্যা হতে পারে।