হুগলি সেতুর মুখে থরে থরে ব্যারিকেড। নিজস্ব চিত্র।
শেষ আপডেট: 25th August 2024 07:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আগামী মঙ্গলবার অর্থাৎ ২৭ অগস্ট নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে ছাত্র সমাজ। আন্দোলনকারীদের তরফে শান্তিপূর্ণ ভাবে কর্মসূচি পালনের কথা বলা হলেও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির আশঙ্কা করছে প্রশাসন। পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রশাসনিকস্তরে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। সোমবার বিকেলের মধ্যে জেলা থেকে একাধিক উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের কলকাতায় পৌঁছে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এবার নবান্নের আশেপাশে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার উদ্যোগ চোখে পড়ল।
শনিবার সন্ধেয় হুগলি সেতুর মুখে দেখা গেল থরে থরে পুলিশের ব্যারিকেড। আশেপাশে পুলিশি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান ঘিরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে আরও একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, এ ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানিয়েছিলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে কোনওভাবেই আটকানো যাবে না বা প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে আদালত এও বলে, প্রয়োজনে রাজ্য সরকার অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে। তবে যতক্ষণ তার প্রয়োজন না পড়ছে, যতক্ষণ প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ, ততক্ষণ কোনও বাধা দেওয়া যাবে না। শুক্রবার একই কথা জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টও।
গত ১৪ অগস্ট মধ্যরাতে মেয়েদের রাত দখলের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আরজিকরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। আদালতেও তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয় কলকাতা পুলিশকে। ওই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
একই সঙ্গে হাওড়া পুলিশ কমিশনারেটের তরফে আন্দোলনকারী ছাত্র সমাজের তিন নেতার কাছে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর চেয়ে নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। সাংবাদিক বৈঠক থেকে প্রবীর দাস, সায়ন লাহিড়ী এবং শুভঙ্কর হালদার নামে তিন ছাত্র জানিয়েছিলেন, মঙ্গলবার কলকাতার কলেজ স্কোয়্যার এবং হাওড়ার সাঁতরাগাছি থেকে দুপুর ১টায় জমায়েত হবে। সেখান থেকে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে নবান্নের উদ্দেশে যাবে দু’টি পৃথক মিছিল। মিছিলে কত মানুষের জমায়েত হবে, রুট অর্থাৎ কোন পথ ধরে মিছিল এগোবে - এসব ব্যাপারেই জানতে চেয়ে ওই তিন ছাত্র নেতাকে নোটিস পাঠিয়েছে পুলিশ।