শেষ আপডেট: 12th November 2018 12:03
এবার আড়াল থেকেই ছত্তীসগড়ের ভোট দেখছেন "বস্তারের রানি"
গৌতমী সেনগুপ্ত
নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন তিনি। ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়। পুরোপুরি। ছত্তীসগড়ের ভোটের আঁচ মোটে গায়ে লাগতে দিচ্ছেন না সোনি সোরি। বস্তারের প্রথম আদিবাসী শিক্ষিকা। এক সময় মাওবাদী সন্দেহে ধৃত সোনি পুলিশের অত্যাচারে জর্জরিত হয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছিলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতে। জামিন পাওয়ার পরে যে লড়াই থেমে গিয়েছিল, এমনটা নয়। বরং নিজের এলাকার মানুষদের স্বার্থ রাখতে আম আদমি পার্টির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন ২০১৪ সালে। বস্তারের মাটি থেকে। এ বার অবশ্য বিযুক্ত করেছেন নিজেকে। অনেক ঝড়ঝঞ্ঝা পেরিয়ে এসে মনে হচ্ছে, না, এ ভাবেও হবে না। “ আসলে না মাওবাদীরা, না পুলিশ প্রশাসন, বস্তারের মানুষদের কথা ভাবতে শেখেনি কেউই।” ২০১০ সালের শেষের দিকে বস্তারের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সোনি সোরিকে। মাওবাদী সন্দেহে। অভিযোগ, তখনকার পুলিশ সুপারের কোয়ার্টার্সে নির্মম অত্যাচার চালানো হয় তাঁর উপর। যৌনাঙ্গে পাথর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁর। জেলেই ছিলেন এরপর দীর্ঘদিন। অত্যাচারের ক্ষত নিয়েই। চিকিৎসা হয়নি কোনও। ২০১১ সালের শেষে শারীরিক কষ্ট সহ্য করতে না পেরে সুপ্রিমকোর্টে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানান। এরপর মঞ্জুর হয় জামিন।
