শেষ আপডেট: 18th June 2019 18:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: কথায় বলে সংসদ বিরোধীদের জন্যই।
সরকার নীতি প্রনয়ণ করবে, তার বাস্তবায়ন করবে। আর যে নীতি প্রনয়ণ করা হচ্ছে বা তার বাস্তবায়ন হচ্ছে, তা ঠিক মতো হচ্ছে কিনা তা নিয়ে চুলচেরা বিচার করবেন বিরোধীরা। সেই সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ইতিবাচক ভূমিকাও নেবেন।
কিন্তু সেই সংসদ যাতে নিরপেক্ষ ভাবে চলতে পারে তার প্রধান ভার হল সভার পুরোহিতের উপরেই। লোকসভায় পৌরোহিত্য করেন স্পিকার। বুধবার ওম বিড়লা আনুষ্ঠানিক ভাবে লোকসভার নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর প্রশংসা করে সে কথাটাই আরেকবার স্মরণ করিয়ে দিতে চাইলেন কংগ্রেস দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
এ দিন স্পিকারের উদ্দেশে তিনি হিন্দি শায়েরির দু’লাইন পড়ে শোনান। বলেন, “খুদা সে কেয়া মাঙ্গু তেরে বাস্তে/সদা খুশিও সে ভরে হো তেরে রাস্তে/হাসি তেরে চহেরে পে রহে ইস তরাহ, খুশবু ফুলো কে সাথ রেহতি হ্যায় জিস তরাহ।”
সর্বসম্মতিতে স্পিকার নির্বাচিত হওয়ার পর এদিন ওম বিড়লাকে তাঁর চেয়ার পর্যন্ত এগিয়ে দেন। তার পর স্পিকারের উদ্দেশে ধন্যবাদ প্রস্তাবে বক্তৃতা দেন সব রাজনৈতিক দলের নেতারা।
আরও পড়ুন: ওম বিড়লাকে স্পিকারের আসন অবধি পৌঁছে দিলেন মোদী
এ প্রসঙ্গেই সভায় এ দিন অধীর বলেন, সভার বহু সদস্য শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে গত দু’দিনে যে ভাবে লোকসভার মধ্যেই স্লোগান তুলেছেন, ব্যক্তিগত ভাবে তিনি তা সমর্থন করেন না। তাতে সভার গরিমা লঘু হচ্ছে। সভায় ধর্মনিরপেক্ষ ও আলোচনার পরিবেশ যাতে বজায় থাকে সে জন্য নতুন স্পিকারকেও অনুরোধ করেন তিনি।