Advertisement
ফাইল ছবি
Advertisement
শেষ আপডেট: 28 February 2025 15:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃহস্পতিবারই গ্রেফতার হয়েছেন পানাগড়কাণ্ডের (Panagarh) মূল অভিযুক্ত বাবলু যাদব (Bablu Yadav)। শুক্রবার দুর্গাপুর আদালতে হাজির করানো হলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, 'ভয় পেয়েই পালিয়ে গিয়েছিলাম।' পানাগড়কাণ্ডে চার দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডাল থেকে বাবলুকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
শুক্রবার আদালতে প্রবেশের সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, গত রবিবার রাতে ঘটনার পর কেন সেখান থেকে তিনি পালিয়েছিলেন? জবাবে বাবলু জানান, অন্য কোনও কারণ নয়, ভয় পেয়েই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। যে সাদা গাড়ি নিহত সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের (Sutandra Chatterjee) গাড়িকে ধাওয়া করছিল তা চালাচ্ছিলেন এই বাবলুই। তিনি ওই গাড়ির মালিকও বলে জানা গেছে।
গত রবিবার রাতে পানাগড়ে গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় চন্দননগরের বাসিন্দা, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার কর্ণধার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় (২৭)-এর । অভিযোগ, অভিযোগ, দুর্গাপুরের বুদবুদের একটি পেট্রোল পাম্পে তেল ভরার পর তাদের গাড়িকে ধাওয়া করে একটি সাদা গাড়ি। যে গাড়িতে কয়েকজন মদ্যপ ছিলেন। সুতন্দ্রাকে নিয়ে কটূক্তি করতে থাকে তারা। এরপরই ধাওয়া করলে দুর্ঘটনায় পড়ে সুতন্দ্রার গাড়ি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে জানিয়েছিল, বাবলু পানাগড়েরই বাসিন্দা এবং তার গাড়ির ব্যবসা রয়েছে। বাবলুর বাড়িতেও হানা দিয়েছিল তাঁরা। তবে সেখানে কাউকে পায়নি। কিন্তু প্রশ্ন, এতকিছু জানার পরও কেন বাবলুকে ধরতে পুলিশের এত সময় লেগে গেল। সুতন্দ্রার মা বলছেন, মেয়ের গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। আদতে সে রাতে কী ঘটেছিল তা জানুক পুলিশ। তিনি স্বচ্ছ তদন্তের দাবি করেছেন।
গত সোমবারই সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী চট্টোপাধ্যায় কাঁকসা থানায় গিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বাবলু সম্পর্কে এত কিছু জানা গেলেও কেন তাঁকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ? বৃহস্পতিবার বাবলু গ্রেফতার হওয়ার পর মৃতার মা বলেন, ‘‘সাদা গাড়িতে তো আরও অনেকে ছিলেন। তাঁদের কেন এখনও গ্রেফতার করা গেল না? মেয়ের গাড়িতে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। জানার চেষ্টা হোক, সেই রাতে ঠিক কী ঘটেছিল। স্বচ্ছ তদন্ত হোক। মেয়ের মৃত্যুর বিচার চাই। অপরাধী বা অপরাধীদের শাস্তি হোক।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, বাবলুর পরিবারের আদি বসবাস উত্তরপ্রদেশে। বাবলুর ঠাকুরদা সেখান থেকে পানাগড়ে এসে দোকানে কাজ শুরু করেন। প্রায় দু’দশক আগে এলাকার একটি গাড়ির যন্ত্রাংশ বেচাকেনার দোকানে কাজ শুরু করেন বাবলু। বছর আটেক আগে নিজেই গাড়ির যন্ত্রপাতির ব্যবসা শুরু করেন। এরপর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে চোরাই গাড়ির যন্ত্রপাতি কেনার অভিযোগে বুদবুদ থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করলেও তিন দিন পর তিনি জামিন পান। তারপর থেকেই এলাকায় জাঁকিয়ে বসেন তিনি।
Advertisement
Advertisement