নিরাপদ আশ্রয়ে বহু মানুষ
শেষ আপডেট: 25th October 2024 11:11
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের কিছু পরেই ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারার কাছে ল্যান্ডফল করেছে ঘূর্ণিঝড় 'দানা'। এই ঝড়ের প্রভাব বাংলায় বিরাটভাবে পড়ার ইঙ্গিত ছিল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তিনি সারারাত নবান্নেই থাকবেন, ঘূর্ণিঝড়ের সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। সেই মতো গতকাল রাত থেকে নবান্নেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাত পেরিয়ে সকালেও কন্ট্রোল রুম থেকে তদারকি করছেন 'দানা' পরিস্থিতির।
জেলাশাসকরা মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের অবস্থা খুবই খারাপ। দিঘায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি, সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাস দেখা গিয়েছে। একই অবস্থা মন্দারমণি, তাজপুরেও। প্রচুর পরিমাণে নোনো জল ঢুকে গিয়েছে মন্দারমণির নিচু এলাকায়। দানার ঝাঁপটায় একাধিক গাছপালা পড়েছে।
অন্যদিকে, বকখালিতেও প্রবল জলোচ্ছ্বাস, ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। হিঙ্গলগঞ্জ, টাকি, গোসাবা, সাগর, নামখানা-সব জায়গার অবস্থা একই রকম। বনগাঁয় বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন। আগে থেকেই সেখানের বিভিন্ন জায়গায় জল জমে ছিল। নতুন করে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় বহু এলাকা বিপর্যস্ত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এই মুহূর্তে পরিষ্কার করে বলা সম্ভব নয়। যত বেলা বাড়বে মূল্যায়ণ হবে। তারপরে সরকারের তরফে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হবে।
তবে, ইতিমধ্যেই ২ লক্ষ ১১ হাজার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে ১ হাজার ২২৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে যে সব জায়গায়, সেখানে অস্থায়ীভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
'দানা' মোকাবিলায় অনেক আগেই নবান্নে কন্ট্রোল রুমে খোলা হয়েছিল। তাতে লাগানো হয়েছে জায়ান্ট স্ক্রিন। সেখানেই বারংবার চোখ রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই জায়ান্ট স্ক্রিনে ঘূর্ণিঝড়ের গতিবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই বুঝেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পন্থা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
নবান্নের নির্দেশে মঙ্গলবার থেকেই সাত জেলায় রয়েছেন বিভিন্ন দফতরের সচিবেরা। দুর্যোগের মোকাবিলায় নবান্নের পাশাপাশি জেলাগুলিতেও ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। ২৪ ঘণ্টার জন্য নবান্নে হেল্পলাইন নম্বর (০৩৩) ২২১৪৩৫২৬ চালু করা হয়েছে।