অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
শেষ আপডেট: 22 May 2024 16:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: একুশের বিধানসভা ভোটের খেলা এখনও শেষ হয়নি। আগামী ৪ জুন সেই খেলা শেষ হবে। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের নির্বাচনী সভা থেকে হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
অভিষেক বলেন, "একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির দলদাস কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং শাগরেদ নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে লোডশেডিং করে চারটে ইভিএম সরিয়ে মানুষের জনমতকে কারচুপি করে এখানে যিনি জিতেছিলেন তাঁকে যোগ্য জবাব দেওয়ার দিন ২৫ মে। তারপরই এই খেলা শেষ হবে।"
গত বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে ১৯৫৬ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন শুভেন্দু। গণনা কেন্দ্রে লোডশেডিং করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর অভিযোগ উঠেছিল। এবারের লোকসভা ভোটে নন্দীগ্রামের মানুষ তার জবাব যোগ্য জবাব দেবে বলে দাবি করেছেন অভিষেক। একই সঙ্গে অভিষেকের ভবিষ্যদ্বাণী, এবারে অন্তত দু’লক্ষ ভোটের ব্যবধানে তমলুক থেকে জিতবে দেবাংশু।
দুর্যোগ উপেক্ষা করে এদিন নন্দীগ্রামে অভিষেকের সভায় মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, "এই সভায় উপস্থিত শুধু খালি মাঠের লোক ২ নম্বর বোতামটা টিপে দিলে বিজেপির দু'নম্বরি নেতাগুলোর দফারফা হয়ে যাবে।"
তমলুক লোকসভা আসনে এবারে তৃণমূলের প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। ইভিএমের ২ নম্বরে রয়েছে তাঁর নাম। তমলুকে এবারে বিজেপি প্রার্থী করেছে কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল বিজেপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে।
ওই প্রসঙ্গ টেনে বিজেপি প্রার্থীকে 'দেশদ্রোহী' আখ্যা দিয়ে অভিষেক বলেন, "কাকে প্রার্থী করেছে দেখেছেন? কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু কামনা করছেন, কখনও বা তাঁর দাম জানতে চাইছেন।"
অভিষেকের অভিযোগ, "৮০টা বুথে জোর করে দখল করে ভোট করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি। ওদের দল থেকেই আমাকে খবর দিয়েছে। তবে বলে রাখছি, ভোট লুঠ করতে এলে খুব খারাপ হবে। সতর্ক করে গেলাম।"
সম্প্রতি তৃণমূল সম্পর্কে কুরুচিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে। শুভেন্দুর সেই মন্তব্যের অডিও চালিয়ে জনতার কাছে অভিষেক জানতে চান, "উনি তৃণমূলকে নর্দমা বলেন । নর্দমা আসলে কে? মুখের ভাষা শুনছেন?"
শুভেন্দুকে মেরুদণ্ডহীন বলেও কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, "তুমি মেদিনীপুরের সন্তান নও। ইডি, সিবিআই থেকে বাঁচতে বিজেপিতে গেছো। আজকে সতীশ সামন্ত, সুশীল ধারা, বীরেন্দ্র শাসমলরা বেঁচে থাকলে- একে ক্ষমা করতেন না। কারণ, এর তো শিরদাঁড়াই নেই!"
মঙ্গলবার শুভেন্দুর ভাড়াবাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে রাজ্য পুলিশ। ওই প্রসঙ্গ টেনে অভিষেক বলেন, "একটা জায়গায় পুলিশ সার্চ করতে গেছে, তাতেই কেঁপে কেঁপে উঠছে। মহুয়া মৈত্রর বাড়িতে ইডি, সিবিআই যখন গিয়েছিল ভিডিওগ্রাফি করা হয়েছিল? তুমি করলে রামলীলা, আমরা করলে ক্যারেক্টার ঢিলা। আমার হেলিকপ্টারেও তো ইডি, সিবিআই তল্লাশি করেছে। এই নিয়ে আমি ক'বার বলেছি। এত ভয় পাওয়ার কী আছে।"