শেষ আপডেট: 3rd October 2023 11:31
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নেতার ভাগ্নের নজর থেকে বাঁচাতে নাবালিকা মেয়েকে সূদুর সিকিমে মামার বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন বাবা। অভিযোগ, তাতেও রেহাই মেলেনি। সেখান থেকেই নাবালিকাকে অপহরণ করে জোর করে ধর্মান্তকরণ করে বিয়ে করে ওই নেতার ভাগ্নে। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও লাভ না হওয়ায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন নাবালিকার বাবা। ওই মামলাতেই পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা থানার পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করল হাইকোর্ট।
এক সপ্তাহের মধ্যে নাবালিকাকে খুঁজে বের করার জন্য পিংলা থানার পুলিশকে কড়া নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে ওই নাবালিকার পরিবারকে সম্পূর্ণ পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলাকারীর আইনজীবী তন্ময় বসু আদালতে জানান, পিংলার অঞ্চল সভাপতির ভাগ্নে অশিউর রহমান ওই এলাকার বছর পনেরোর এক নাবালিকাকে নানাভাবে উত্যক্ত করত। বেশ কয়েকবার তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরই নেতার ভাগ্নের কু নজর থেকে মেয়েকে বাঁচাতে সিকিমে মামার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন নাবালিকার বাবা। অভিযোগ, মাস তিনেক আগে সেখান থেকেই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়।
অভিযোগ, গত ১৮ জুন সিকিম থেকেই ওই নাবালিকাকে অপহরণ করা হয়। এমনকী অপহরণের পর জোর করে ধর্মান্তকরণ করে নাবালিকাকে বিয়ে করে অভিযুক্ত যুবক। নাবালিকার বাবার অভিযোগ, এই বিষয়ে পিংলা থানায় অভিযোগ জানালেও পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি।
পুলিশের তরফে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উড়িয়ে আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। তাতে পুলিশের দাবি, যাকে নাবালিকা বলা হচ্ছে সে সাবালিকা। এরপরই মেয়েটির পরিবারের তরফে পাল্টা তথ্য দিয়ে আদালতে জানানো হয়, অপরাধীকে আড়াল করতে জাল তথ্য ব্যবহার করা হয়েছে। নাবালিকার বয়স বাড়িয়ে দেখানো হয়েছে। এরপরই পিংলা থানার পুলিশকে তীব্র ভর্ৎসনা করে ডিভিশন বেঞ্চের প্রশ্ন, “পুলিশ কি কারও অপরাধ আড়াল করার চেষ্টা করছে?”
এক সপ্তাহের মধ্যে নিখোঁজ নাবালিকাকে উদ্ধার করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। আগামী ৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী শুনানি।