প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 22nd October 2024 07:24
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রতিবাদ করার শাস্তি। এক মহিলাকে পিষে দিল পণ্যবাহী গাড়ি। গ্রেফতার চালক। গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রোববার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার তাহেরপুর থানা এলাকায়। জানা যাচ্ছে, স্থানীয় ওষুধ বিক্রেতা সুজন বিশ্বাস প্রত্যেক দিনের মতো এদিনও দোকান বন্ধ করে স্ত্রীকে নিয়ে বাইকে করে ফিরছিলেন। রানাঘাট-কৃষ্ণনগর রাজ্যসড়ক ধরে তাহেরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। রাস্তায় বাইক দাঁড় করানো নিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীর সঙ্গে ইঞ্জিনভ্যান চালকের কথা কাটাকাটি হয়। দু'পক্ষই ফোনে ফোনে আরও কয়েকজনকে ডেকে আনেন।
ইঞ্জিনভ্যান চালক যাঁদের ডেকে এনেছিলেন তাঁদের মধ্যে ছিলেন একজন পিকআপ ভ্যান চালক। দীর্ঘক্ষণ বচসার পর মিটমাট হয়ে গেলে সেই পিকআপভ্যান চালক হঠাৎ গাড়ির গতি বাড়িয়ে অন্ধকার রাস্তায় হেডলাইট বন্ধ করে ওষুধ বিক্রেতার স্ত্রী তন্দ্রা বিশ্বাসকে (৩৫) পিষে দেন বলে অভিযোগ।
ওষুধ বিক্রেতার স্ত্রী-সহ তিনজন চাপা পড়েন গাড়ির তলায়। স্থানীয়রা দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকরা ওষুধ ব্যবসায়ীর স্ত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বাকিদের মধ্যে একজন এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ঘটনাস্থলেই গাড়ি রেখে চম্পট দেন চালক।
ঘটনার রাতেই গাড়িচালকের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃত মহিলার স্বামী। তাঁর কথায়, ‘ভেবেছিলাম সমস্যা মিটে গেছে। কিছুক্ষণ পর দেখি ওই চালক হেডলাইট নিভিয়ে গাড়িটিকে দ্রুত ছুটিয়ে আনছেন। স্থানীয়রাও গোটা ব্যাপারটা দেখেছেন। কয়েকটি বাইক রাখা ছিল সেখানে। গাড়িটি ভিড় লক্ষ্য করে এসে আমার স্ত্রী-সহ আরও দু'জনকে ধাক্কা মারে। সবাই ঘটনায় অবাক হয়ে যান। কেউ কেউ ছিটকে পড়েন। তারপর গাড়িটি চোখের সামনে আমার স্ত্রীকে পিষে দিয়ে চলে যায়। পুরোটাই পরিকল্পনা করে খুন'।
রানাঘাটের এসডিপিও শৈলজা দাস বলেন, ‘চালকের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হয়েছে। আরও কেউ জড়িত কিনা এই ঘটনায়, সেটাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’