শেষ আপডেট: 12th March 2025 17:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী তথা আওয়ামী লিগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বিরুদ্ধে বুধবার আরও একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হল। ঢাকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তাজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ বুধবার এই নির্দেশ দেন।
বুধবারের মামলাটি এমন একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে যা ঘটেনি বলে একাধিকবার হাসিনা সরকারের তরফে দাবি করা হয়। অভিযোগটি ২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে’র। ঢাকার মতিঝিলে ওই দিন জমায়েতের ডাক দিয়েছিল হেফাজতে ইসলাম নামে এক উগ্র সংগঠন। তারা শাপলা চত্ত্বর অবরুদ্ধ করে রাখে। তাদের অধিকাংশই ছিলেন আলেম, উলামা (ইসলামিক পণ্ডিত)। অভিযোগ, গভীর রাতে পুলিশ ও সেনা অভিযান চালিয়ে তাদের সরিয়ে দেয়। সেই সময় নিবিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করে লাশ গুম করে দেওয়া হয় বলে তখন থেকেই অভিযোগ করে আসা হচ্ছিল।
গত বছর অক্টোবরে ট্রাইব্যুনাল প্রথম মামলা হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। তার ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে চিঠি দিয়ে হাসিনার প্রত্যর্পণ দাবি করে। ইন্টারপোলের কাছেও রেড কর্নার নোটিস জারির আর্জি জানায়।
মনে করা হচ্ছে, প্রত্যপর্ণের জন্য চাপ সৃষ্টি আরও জোরদার করতেই একটি গণ হত্যার ঘটনায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল ঢাকার ওই ট্রাইব্যুনাল। ভারতের সঙ্গে এই ব্যাপারে দর কষাকষি জোরদার এবং ইন্টারপোলকে রেড কর্নার নোটিস জারিতে চাপ দিতেই এই কৌশল নেওয়া হল বলে মনে করা হচ্ছে। হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়ে ভারতের উপর আন্তর্জাতির চাপ তৈরিও কৌশল বলে মনে করছে তাঁর দল আওয়ামী লিগ।
আওয়ামী লিগের এক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইউনুস সরকার বিগত সাত মাসে মিথ্যার স্বর্গ রচনা করেছে। মিথ্যা মামলার পাহাড় জমেছে আদালতগুলিতে। শাপলা চত্ত্বরের হত্যাকাণ্ডের অভিযোগের সপক্ষে কেউ কোনও প্রমাণ দেখাতে পারেননি। আলেম, উলামাদের যদি হত্যা করে লাশ গায়েব করে দেওয়া হবে তাহলে নিখোঁজের কথা জানিয়ে পরিবার পুলিশ, আদালতের কাছে গেল না কেন। বহুল প্রচলিত একটি রাজনৈতিক অভিযোগকে মান্যতা দিতেই এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাসিনার সঙ্গে মামলায় নাম আছে সেই সময়কার পুলিশ প্রধান বেনজির আহমেদ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু-সহ একাধিক নেতার। চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তাজা মজুমদার আগামী ২০ মে হাসিনা-সহ আসামীদের ট্রাইব্যুনালের সামনে হাজির করার নির্দেশ দেন।