শেষ আপডেট: 5th March 2024 15:53
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আসন্ন লোকসভা নির্বাচন নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলগুলির ভূরিভূরি অভিযোগ শুনে ভারতের নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে এ বিষয়ে সতর্ক করে দেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার।
রাজ্যের জেলাশাসক ও পুলিশকর্তাদের কী নির্দেশ দিল কমিশন?
১। সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ, স্বচ্ছভাবে কাজ করতে হবে। সমচোখে দেখতে হবে সকল রাজনৈতিক দলকে এবং মাঠে নেমে কাজ করতে হবে।
২। শুধু নিজেরা নয়, নিচুতলা পর্যন্ত অফিসাররাও যাতে নিরপেক্ষভাবে কাজ করেন, তার নিশ্চয়তা তৈরি করতে হবে।
৩। ভোটার কিংবা প্রার্থীদের কাছে যেন কোনও হুমকি-সতর্কতা না পৌঁছায়।
৪। ভোটারদের আস্থা অর্জনে অনেক আগে থেকে আধা সেনা মোতায়েন করতে হবে।
৫। জেলাশাসক, এসপি এবং পুলিশ কমিশনারদের সাধারণ পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে বাহিনী মোতায়েনের দায়িত্ব নিতে হবে।
৬। বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে সাপ্তাহিক বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলিকে অবহিত করতে হবে।
৭। যদি কোথাও কোনও গন্ডগোলের খবর আসে সেখানে তৎক্ষণাৎ পর্যবেক্ষক পাঠাতে হবে। তাঁরা পোলিং এজেন্টদের সঙ্গে কথা বলবেন। পর্যবেক্ষকদের নাম, পরিচয়, ফোন নম্বর প্রকাশ করতে হবে।
৮। ভুয়ো ভোটার ও ছাপ্পা ভোট রুখতে সর্বতোভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করতে হবে। তৎক্ষণাৎ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
৯। ভোটার ও দলগুলির যে কোনও অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে শোনা ও পদক্ষেপ করতে হবে।
১০। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও সিভিল ভলান্টিয়ার এবং চুক্তিতে নেওয়া কর্মীদের ভোটের কোনও কাজে অথবা নিরাপত্তার কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
১১। জামিন অযোগ্য ধারায় পড়ে থাকা গ্রেফতার সময়ের মধ্যে সেরে ফেলতে হবে। কোনও অপরাধী বা দাগিকে যেন গারদের বাইরে ঘোরাফেরা করতে না দেখা যায়।
১২। ভুয়ো খবরের বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। জেলাস্তরে ভুয়ো, প্ররোচনামূলক খবর ছড়ানো বন্ধ করতে পৃথক সেল খুলতে হবে।