শেষ আপডেট: 11th February 2023 10:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা (Kota Suicide) করল বছর সতেরোর এক ছাত্রী। রাজস্থানের কোটায় নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে দিয়েছিল সে। অভিযোগ, সেখানেই অন্য এক ছাত্রের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এমনকী শারীরিক সম্পর্কও হয় বলে দাবি মৃতার পরিবারের। মৃতার বাবা ওই ছাত্র ও তার মায়ের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ (Rape) ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করেছেন।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বছর খানেক আগে কোটায় ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আসে নাবালিকাটি। সেখানকার এক বহুতলে দুই ভাই ও বোনের সঙ্গে থাকত সে। দু'দিন আগে কাউকে কিছু না জানিয়ে বহুতলের ১০ তলার ছাদে উঠে যায়, তারপর সেখান থেকেই ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবন শেষ করে দেয় মেয়েটি।
পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। শুক্রবার ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, ওই বহুতলেই মায়ের সঙ্গে থাকত এক নাবালক। মেয়ের সঙ্গে ছেলের সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি ওই নাবালকের মা। নাবালিকার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে দেখে ফেলেছিল। সেই থেকে তাঁর মেয়ের ওপর চাপ দেওয়া শুরু করেন বলেও অভিযোগ তোলেন মৃত নাবালিকার বাবা।
কোটার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শঙ্কর লাল জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের পর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। নমুনা ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে কিনা।
তিনি আরও জানান, মৃতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই ছাত্রীর সঙ্গে কোনওরকম অত্যাচার করা হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাঁদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরে এই নিয়ে তৃতীয় আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। মূলত পড়াশুনার চাপের কারণে অনেক পড়ুয়া কোটায় আত্মহত্যা করে। ২০২১ সাল থেকে কোটায় পড়ুয়াদের আত্মহত্যার সংখ্যা ১২২-এ এসে দাঁড়াল। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষার প্রস্তুতি কেন্দ্র হিসাবে বিখ্যাত রাজস্থানের কোটা। প্রতি বছর এখানকার কোচিং সেন্টারগুলিতে হাজার হাজার পড়ুয়া ভর্তি হন। পড়াশোনায় তীব্র প্রতিযোগিতা, পরস্পরকে ছাপিয়ে যাওয়ার দৌড়ে মানসিক চাপ থেকেই অনেকে বেছে নেয় আত্মহত্যার পথ।
সন্তানরা চাপা পড়ে চাঙড়ের নীচে, দেখা যাচ্ছে ছেলের চোখ, বাবা চেয়েছিলেন একজন অন্তত বাঁচুক