শেষ আপডেট: 30th June 2023 13:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মৌসুমী বায়ু, এবং নিম্নচাপ অক্ষরেখার জোড়া ফলায় প্রবল বৃষ্টিতে ভিজছে বাংলার উত্তর থেকে দক্ষিণ। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গই নয়, প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে উত্তরের দিল্লি থেকে দক্ষিণের কেরল। গত ৪৮ ঘণ্টায় শুধুমাত্র গুজরাতেই বৃষ্টির কারণে ৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে (9 Killed In Gujarat)।
হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, গত ৩০ ঘণ্টায় গুজরাতের কিছু কিছু জায়গায় ২০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আজ শুক্রবার এবং শনিবারও রাজ্যটির বেশ কিছু জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আইএমডি। তবে রবিবার থেকে বৃষ্টি কমবে। সোমবার পর্যন্ত জায়গা জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত চলবে।
সুরাত, কচ্ছ, জামনগর, মরবি এবং জুনাগড়ের একাধিক জায়গায় ভারী বৃষ্টির জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শহরের বেশিরভাগ এলাকাই জলমগ্ন, এমনকী গ্রামগুলিতেও বেশ কিছু জায়গায় শুক্রবার সকালের প্রবল বৃষ্টিতে রাস্তা বন্ধ বলে খবর মিলেছে।
রাজ্যের এমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার বেলা বারোটা পর্যন্ত গত ৩০ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩৭ টি তালুকে ১০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টাপি জেলার ভ্যারা তালুকে বৃষ্টির পরিমাণ ২৯৯ মিলিমিটার। পিছিয়ে নেই জামনগর, সুরাত কিংবা কচ্ছও। এই জেলাগুলোতেও ২৫০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
সূত্রের খবর, রাজ্য জুড়ে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির কারণে এ পর্যন্ত দুদিনে ৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। পাঁচমহল জেলায় বৃষ্টির কারণে বৃহস্পতিবার বাড়ির দেওয়াল ধসে পড়ে চারটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই কারণে আনন্দ জেলাতেও মৃত্যু হয়েছে দুটি শিশুর। এছাড়া বৃহস্পতিবার জামনগর এবং আরাবল্লী জেলায় জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। শুক্রবার আমরেলিতে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলার।
শুক্রবার জারি করা পূর্বাভাসে আইএমডি জানিয়েছে, শনিবার গান্ধীনগর, খেদা, আমদাবাদ, আনন্দ, ভাদোদরা, ভারুচ, সুরাত, নভসারি এবং ভালসাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং রবি ও সোমবার রাজ্যেজুড়েই বিভিন্ন এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।