শেষ আপডেট: 10th January 2025 21:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সিজারের পরই কোমায় তৃনমূলের পঞ্চায়েত সদস্যা। অভিযোগ, ভুল চিকিৎসার কারণে তাঁর ৮০ শতাংশ 'ব্রেন ডেথ' হয়ে গিয়েছে। এমনকী কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেও সমস্যার সুরাহা হয়নি।
ইতিমধ্যে চুঁচুড়ার নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়েছে ওই রোগিনীকে। বিষয়টি জানতে পেরে শুক্রবার ওই রোগিনীকে দেখতে হাসপাতালে এসেছিলেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে রচনা বলেন, "ভুল যারই হোক ব্যবস্থা নেওয়া হবে"।
হুগলির পোলবার সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতের পূর্ব পাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা পাত্র(২৫) তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যাও। তাঁর স্বামী তোতন পাত্র জানান, "অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালের এক চিকিৎসককে প্রাইভেটে দেখানো হত। প্রসবের একমাস বাকি থাকতে চিকিৎসক জানিয়ে দেন, তিনি থাকবেন না। তাঁর কথা মতোয় চুঁচুড়া হসপিটাল রোডের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করি।"
গত ৬ জানুয়ারি অপর্ণার সিজার করেন চিকিৎসক। একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর কোমায় চলে যান প্রসূতি।আর জ্ঞান ফেরেনি। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে তাকে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে কয়েকদিন আইসিসিইউতে ভর্তি রাখার পর চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, আশি শতাংশ ব্রেন ডেথ হয়ে গেছে প্রসূতির।চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন না। তোতন বলেন, "হাসপাতালে খরচও হচ্ছিল অনেক। তাই চুঁচুড়ার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।"
দলের পঞ্চায়েত সদস্যর এই রকম অবস্থা শুনে শুক্রবার সন্ধেয় সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই নার্সিংহোমে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক অসিত মজুমদার। রচনা বলেন, "সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুলে এই ঘটনা হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। নার্সিংহোমেরও গাফিলতি থাকতে পারে। যারই গাফিলতি থাক না কেন, পদক্ষেপ করা হবে। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রীকে জানানো হবে।"