শেষ আপডেট: 6th August 2023 10:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: যাঁদের পোষ্য আছে, তাঁদের সকলের কাছেই তারা প্রিয় বন্ধুর সমান (8 reasons Dogs are best friends of human)। কাছের মানুষও অনেক সময় যে আবেগ অনুভূতি বুঝতে পারে না, সেইসব সূক্ষ্মতম আনন্দ কিংবা বেদনা বহুক্ষেত্রেই বুঝে নেয় পোষ্যরা। মন খারাপ থাকলে পোষ্য কুকুর (Dog) কিংবা বিড়ালকে আদর করলেই মুহূর্তে দিল খুশ! তবে বিড়ালের তুলনায় পোষ্য হিসেবে কুকুরের জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। তার কারণ হল, বিড়াল স্বভাবে স্বাধীনচেতা, নিজের মতো থাকতে ভালবাসে। কিন্তু কুকুর মালিকের জন্য জীবন দিতেও সদা প্রস্তুত।
আজ বলে নয়, সভ্যতার আদিকাল থেকেই কুকুর মানুষের বিশ্বস্ত সহচর। প্রাচীন গুহাচিত্রেও তার প্রমাণ মিলেছে। বাড়ি পাহারা দেওয়া তো রয়েছেই, সেসব ছাড়াও বন্ধু হিসেবেও কুকুরের জুড়ি মেলা ভার। এমনকী, মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য আজকাল মনোবিদরা ও কুকুর পোষার পরামর্শ দেন। মানসিক চিকিৎসার ক্ষেত্রেও বিশ্বজুড়ে চাহিদা বাড়ছে থেরাপি ডগদের।
১) ভিন্ন ভিন্ন ব্যক্তিত্ব
বিভিন্ন কুকুরের ব্যক্তিত্ব বিভিন্ন হয়। রোডেশিয়ান পুষলে সারাদিন তার সঙ্গে দৌড়তে দৌড়তে সময় কেটে যাবে। আবার পাগ পুষলে একসঙ্গে বসে আরাম করার সময়ের অভাব হবে না। ল্যাব্রাডরও বেশ কুঁড়ে প্রজাতির কুকুর। আর গোল্ডেন রিট্রিভার স্বভাবে ছটফটে, চনমনে।
২) সময় কাটানোর সেরা সঙ্গী
সারা সপ্তাহ খাটা-খাটনির পর একটাই ছুটির দিন। বাইরে বেরোতে ইচ্ছে করছে না। বেরোতে হবেও না, বাড়িতে যে মিষ্টি ছানাটা রয়েছে তাঁর সঙ্গে খেলতে বসলে সময় কখন পেরিয়ে যাবে বোঝা দায়। মন খারাপ করার সুযোগই পাবেন না। পুরোটাই হাসি-মজা।
৩) প্রাণোচ্ছল ব্যবহার
দিনের শেষে বাড়ি ফিরতেই আগে গায়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে একটু আদর করে নেওয়া তাদের ভালোবাসা বোঝানোর অন্যতম উপায়। কুকুর কিন্তু এমন প্রাণী যা আপনার মানসিক এবং শারীরিক সমস্যা এবং অনুভূতি চটজলদি বুঝতে পারে। শুধু তাই নয়, মন খারাপ থাকলে নিজের মতো করে আপনাকে খুশি করারও চেষ্টা করে এরা। ফলে, কুকুর বাড়িতে থাকলে আপনিও ভালো থাকবেন।
৪) পরিশ্রমী
বাড়ির কাজ হোক বা ঘুরতে যাওয়া সবকিছুতেই আগেভাগে লাফিয়ে পড়তে দেখবেন এই দুষ্টু ছানাদের। ওদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে আপনারও বেশ কিছুটা ব্যায়াম হবে বৈকি।
৫) হাসিখুশি স্বভাব
যাদের বাড়িতে কুকুর আছে তাঁরা নিশ্চয় জানেন কতরকম কাণ্ড কারখানা করে থেকে আপনার প্রিয় বন্ধু। কখনও আপন মনে গেয়ে উঠছে তো কখনও খাবারে ভাগ বসাচ্ছে আবার কখনও এমন ভাবে শুয়ে আছে যেটা দেখে আপনি লজ্জা পেয়ে যাবেন। অর্থাৎ বাড়িতে কুকুর থাকা মানেই সারাদিন হাসিমজা।
৬) মনোযোগী হওয়া
কুকুরের থেকে শেখা যায় কীভাবে মনোযোগী হয়ে ওঠা যায়। যত সময় কাটাবেন ততই তারা মনযোগী হয়ে উঠবে আপনার প্রতি।সেই সঙ্গে যে কোনও কাজে আপনারও মনোযোগ বাড়বে।
৭) মানসিক ভাবে সাহায্য করা
কেবল বাড়ির পোষ্য হিসেবেই নয়, এখন অনেক হসপিটাল বা ডাক্তারের চেম্বারে কুকুর রাখা হয় ইমোশনাল সাপোর্ট দেওয়ার জন্য। পোশাকি নাম, থেরাপি ডগ। আপনার মনের অসুখকে মুহূর্তে 'সুখ'-এ বদলে দিতে এদের জুড়ি মেলা ভার।
৮) শর্তহীন ভালবাসা
কুকুরের থেকে যেটা সবথেকে শিক্ষণীয়, তা হল কীভাবে কোনও প্রত্যাশা ছাড়াই ভালবাসা যায় একজনকে। নিঃশর্ত ভালোবাসার উদাহরণ দিতে গেলে আপনার পাড়ার ওই কুকুরটার কথা বলতেই হয় যাকে একবার একটা বিস্কুট খাইয়েছিলেন বলে রাতে রাস্তা দিয়ে ফেরার সময় আজও আপনার পিছনে দৌড়ে আসে, আদর করে হাত চেটে দেয়।
আরও পড়ুন: ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে কুকুররূপী মানুষ ল্যাজ নেড়ে মালকিনের সঙ্গে পার্কে গেলেন