শেষ আপডেট: 4th January 2025 19:25
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সপ্তাহখানেক ধরে জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, আর সর্দি—এমন অসহ্য কষ্ট নিয়ে নন্দা ঘোষ যখন মনিপাল হাসপাতাল, ব্রডওয়েতে পৌঁছান, তখন কেউই জানত না কী হতে চলেছে। মনিপাল হাসপাতাল, ব্রডওয়ে চিকিৎসা করেছে ৭৪ বছর বয়সী নন্দা ঘোষের বিরল বাইল্যাটারাল হারপিস জস্টারের। দেশে এটি চতুর্থ ডকুমেন্টেড কেস। রোগী জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, সর্দি এবং মুখমণ্ডলে ভেসিকুলোপাপুলার ব়্যাশ (তরলভরা ফোস্কা) নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। দ্রুত ডায়াগনসিস ও চিকিৎসার মাধ্যমে তাঁর অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়।
ডাঃ পার্থ সারথি ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি বিশেষজ্ঞ দল অ্যান্টি-ভাইরাল ও অ্যান্টি-বায়োটিক ওষুধ দেন। পাশাপাশি ডার্মাটোলজিস্ট ও অপথালমোলজিস্টদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা করা হয়। মুখের দুই পাশে তৈরি হওয়া ব়্যাশ সম্পূর্ণ নিরাময় হয়।
ডাঃ ভট্টাচার্য বলেন, 'ইমিউনোসাপ্রেসন ছাড়া সুস্থ, বয়স্ক মানুষের মধ্যে এই ধরনের কেস অত্যন্ত বিরল। সঠিক সময়ে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা না হলে এই রোগ থেকে অন্ধত্ব, বধিরতা কিংবা স্নায়ুর গুরুতর ক্ষতি হতে পারে। শৃঙ্গলস টিকা এই রোগ প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর, বিশেষত বয়স্ক এবং ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের জন্য।'
নন্দা দেবীর ছেলে জানান, 'মাকে এমন কষ্টে দেখে অসহায় লাগছিল। কিন্তু মনিপাল হাসপাতাল চতুর্থবারের মতো আমাদের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। ডাক্তারদের যত্ন ও দক্ষতার জন্য আমরা চিরকৃতজ্ঞ।'
মাত্র ১০ দিনের চিকিৎসার মধ্যেই রোগীর জ্বর কমে যায়, চামড়ার ব়্যাশ সেরে ওঠে, এবং দ্বিতীয় কোনও সংক্রমণ ছাড়াই তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। পরিবারের সঙ্গে আবার একত্রিত হতে পেরে নন্দা দেবী এবং তার পরিবার অত্যন্ত খুশি। মনিপাল হাসপাতালের উচ্চমানের চিকিৎসা পরিষেবা তাঁদের কাছে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে।