শেষ আপডেট: 5th October 2024 18:13
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জয়নগরের ঘটনায় মূল অভিজুক্তর সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল বারুইপুর আদালত। তার পক্ষে কোনও আইনজীবী সওয়াল করেননি। এদিকে পুলিশের তরফে যতদিন হেফাজত চাওয়া হয়েছিল তাই মিলেছে। পুলিশের আবেদন মেনে নিয়েছেন বিচারক। অভিযুক্তর বিরুদ্ধে খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট, অপহরণ-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
পুলিশ আগেই জানিয়েছে, খুন করেছে বলে স্বীকার করলেও ধর্ষণের অভিযোগ মানতে নারাজ অভিযুক্ত। বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশচন্দ্র ঢালি জানান, ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেননি ধৃত যুবক। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনুমান করা হচ্ছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলেই বিষয়টি পুরোপুরি স্পষ্ট হয়ে যাবে।
শুক্রবার রাতে জয়নগরের মহিষমারি এলাকায় একটি জলাভূমি থেকে ন’বছরের একটি শিশুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।টিউশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে তেতে ওঠে এলাকা। ঘটনা ঘিরে শনিবার সকাল থেকে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় জয়নগর থানা এলাকার মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা। থানায় ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়। মহিষমারির পুলিশ ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা।
মূলত পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির অভিযোগ, পুলিশ প্রথম থেকেই নিষ্ক্রিয় ছিল। নাবালিকা বহুক্ষণ বাড়ি না আসার পর যখন তার পরিবার থানায় যায় তখন পুলিশ এফআইআর নিতেই চায়নি বলে দাবি। শনিবার সকাল থেকেই তাই পুলিশকে ঘিরে চলে বিক্ষোভ। এলাকায় গিয়ে মুখোমুখি বচসাতেও জড়ান আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এবং স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল। অগ্নিমিত্রার সরাসরি বলেন, পুলিশ কেন নিষ্ক্রিয় সেই জবাব সাংসদকে দিতেই হবে! এই বচসার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিজেপি বিধায়ক রীতিমতো আঙুল তুলে প্রশ্ন করছেন।
যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা যায়, অগ্নিমিত্রাকে প্রথমে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন প্রতিমা। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। উল্টে তাঁকে লক্ষ্য করে 'গো-ব্যাক' স্লোগান দেওয়া হয়। বিক্ষোভের মধ্যে পড়ে বিজেপির দিকে পাল্টা আঙুল তুলেছেন তৃণমূল সাংসদ। তাঁর কথায়, বিজেপির সংস্কৃতিই এমন। তাঁদের তরফে কোনও কটূক্তি করা হয়নি। বরং বিজেপির তরফ থেকেই নোংরা কথা বলা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর।