Advertisement
Advertisement
শেষ আপডেট: 21 February 2024 17:08
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পেয়াঁজ, টমেটোর পর এবার রসুন। রান্নাঘরের অতিপ্রয়োজনীয় এই সামগ্রী দামের নিরিখে ইতিমধ্যেই রেকর্ড গড়েছে। কলকাতাসহ জেলার খুচরো বাজারে কেজি প্রতি রসুনের দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা! তথৈবচ অবস্থা পাইকারি বাজারেও।
ফলে থলে হাতে বাজারে গিয়ে রসুন কিনতে রীতিমতো জেরবার অবস্থা মধ্যবিত্তের। ক্রেতারা বলছেন, অন্য বছর জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতে কেজি প্রতি রসুনের দাম ৮০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। সেখানে এবারে ১০০ গ্রাম রসুনের দাম ৬০ টাকা!
স্বভাবতই, এর প্রভাব পড়েছে রান্নাঘরে। মাছ, মাংস, ডিম-সহ আমিষ রান্নার ক্ষেত্রে রসুন একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপকরণ। কিন্তু দামের দাপটে রসুন ক্রমেই মহার্ঘ হয়ে ওঠায় প্রয়োজনের তুলনায় অল্প পরিমাণ দিয়ে কাজ চালাতে বাধ্য হচ্ছেন গেরস্থ থেকে হোটেল ব্যবসায়ী, সকলেই।
কয়েকমাস আগে পেয়াঁজের দামের ঝাঁঝে চোখে জল ঝরার অবস্থা হয়েছিল আমজনতার। পেঁয়াজের পর একই ব্যাপার দেখা গিয়েছিল টমেটোর ক্ষেত্রে। এই মুহূর্তে ওই দুটি আনাজের দাম আয়ত্তের মধ্যে থাকলেও রসুনের দাম মাত্রাছাড়া। ব্যবসায়ীরা বলছেন, শেষ দু’দশকে কখনও রসুনের দাম এতটা ঊর্ধ্বমুখী হয়নি।
সাধারণত শীতকালের শুরু থেকেই দাম কমতে শুরু করে রসুনের। কারণ, এই সময় বাজারে আসে নতুন রসুন। এবারে উলটপুরাণ! শীত পেরিয়ে গেছে, এখনও রসুনের দাম কমার কোনও লক্ষ্মণ নেই। কেন?
ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, প্রথমত, এরাজ্যে রসুনের খুব বেশি চাষ হয় না। ফলে নির্ভর করে থাকতে হয় অন্য রাজ্যের ওপর। এদিকে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় এবারে শীতকালেও বেশ কয়েকবার বৃষ্টি হয়েছে। তার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রসুন চাষ। অন্যবারের তুলনায় এবারে ফলনও দেরিতে হয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন রসুন এখনও বাজারে আসেনি। ফলে চাহিদার তুলনায় জোগানে টান পড়ায় এক ধাক্কায় ৫ থেকে ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে রসুনের দাম।
মার্চের শুরুতেই বাজারে আসতে পারে নতুন রসুন। সেক্ষেত্রে নতুন রসুন বাজারে এলে দাম অনেকখানি কমবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, শুধু পশ্চিমবঙ্গে রসুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী এমনটা নয়, দিল্লি, লখনউ, ভোপাল, পটনা- সহ একাধিক শহরেই কেজি প্রতি রসুনের দাম ঊর্ধ্বমুখী।
Advertisement
Advertisement