শেষ আপডেট: 5 December 2023 14:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো, পূর্ব বর্ধমান: সোমবার সকালে ৫২ টি মোবাইল ফোন-সহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বর্ধমান স্টেশনের জিআরপি। সন্ধ্যায় জিআরপি র বিরুদ্ধে 'তোলাবাজির' অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখান ইলেকট্রনিকস দ্রব্যের ব্যবসায়ীরা। দাবি করেন,তারা বৈধ কাগজপত্র-সহ পুরনো মোবাইলের ব্যবসা করেন। জিআরপি অন্যায়ভাবে তোলা আদায় করে। তারা তোলা দিতে অসম্মত হওয়ায় এভাবে হয়রান করা হচ্ছে।
যার দোকানে ধৃতরা এসেছিল, তিনি বলেন, “আমরা আইন মেনেই কাজ করি। তবুও এক আধিকারিকের অনুরোধে পড়ে মাসে মাসে টাকা দিতাম। কিছুদিন ধরে ব্যবসার হাল খারাপ হওয়ায় টাকা দেইনি। তারপরই এই ঘটনা।” বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, জিআরপির উপরে তাঁদের কোনও ভরসা নেই। তারা চান জেলা পুলিশ বা আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুক।
চুরির জিনিস দাবি করে ৫২টি মোবাইল সহ দু’জনকে গ্রেফতার করে বর্ধমান জিআরপি। ধৃতদের নাম মহম্মদ আশরাফুল আলম ও মহম্মদ মনিরুল ইসলাম। মালদহ জেলার কালিয়াচক থানার পূর্ব মহাজনপাড়ায় আশরাফুলের বাড়ি। কালিয়াচক থানারই চাঁদপাড়ায় বাড়ি মনিরুলের। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার ভোররাতে বর্ধমান স্টেশনের ২ ও ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ওভারব্রিজে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরির সময় ওই দু’জনকে ধরা হয়। ধৃতদের কাছে থাকা ২টি ব্যাগ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির ৫২টি মোবাইল ফোন উদ্ধার হয়েছে। মোবাইলগুলিতে কোনও সিমকার্ড ছিল না। মোবাইল সংক্রান্ত বৈধ কোনও কাগজপত্র দেখাতে না পারায় মোবাইল চুরির স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা চোরাই মোবাইল কেনাবেচায় জড়িত বলে জিআরপির দাবি।
ধৃতদের বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। আরও চোরাই মোবাইল উদ্ধার করতে এবং ঘটনায় জড়িত বাকিদের হদিস পেতে ধৃতদের ৩ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় জিআরপি। দু’জনকে দু’দিন জিআরপি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম।