শেষ আপডেট: 27th January 2022 10:35
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাহুল গান্ধীর (rahul gandhi) বিরুদ্ধে বিদ্রোহ (rebellion) পাঞ্জাব কংগ্রেসে (punjab congress)! রাজ্যের ৮ কংগ্রেস সাংসদের (mp) ৫ জনই রাহুলের বৃহস্পতিবারের রাজ্য সফর বয়কটের (boycott) সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। বিক্ষুব্ধ ৫ সাংসদ হলেন যশবীর সিং গিল (খাদুর সাহিব), পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস নেতা অমরিন্দর সিংয়ের স্ত্রী প্রণীত কৌর (পাতিয়ালা), প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মণীশ তেওয়ারি (আনন্দপুর সাহিব), কংগ্রেসের লোকসভার মুখ্য সচেতক রবনীত সিং বিট্টু (লুধিয়ানা) ও মহম্মদ সাদিক (ফরিদকোট)। কিন্তু কেন এই ৫ জন রাহুলের বিরুদ্ধে দাঁড়ালেন? সূত্রের দাবি, এঁদের বক্তব্য, রাহুলই কার্যত দলে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন। তিনি 'অঘোষিত নেতৃত্ব' (de facto leadership) ছাড়ুন, নইলে তাঁরা যে দল ছাড়বেন, সেই হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন এই কংগ্রেস সাংসদরা। রাহুল ইতিমধ্যেই অমৃতসর পৌঁছে পাঞ্জাব নির্বাচনে কংগ্রেসের নাম ঘোষিত ১০৯ জন প্রার্থীকে নিয়ে স্বর্ণমন্দিরে গিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন, সেখানে লঙ্গরে খেয়েছেন, রাজ্যের মঙ্গল কামনায় প্রার্থনাও করেছেন। দুর্গিয়ানা মন্দির, ভগবান বাল্মিকী তীর্থস্থলেও যাওয়ার কর্মসূচি আছে তাঁর। বিকালে তাঁর নই সোচ, নই পাঞ্জাব কর্মসূচিতে ভার্চুয়ালি থাকার কথা, সাংবাদিক সম্মেলনও করবেন। অন্যদিকে বিদ্রোহী ৫ কংগ্রেস সাংসদও পাঞ্জাবে বা নয়াদিল্লিতে শীঘ্রই সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন পাল্টা। নভজ্যোত সিং সিধুকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পদে বসানো, মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের অপসারণ, পাঞ্জাবে ক্ষমতায় থাকলেও শান্তিতে নেই কংগ্রেস। তার মধ্যেই খোদ রাহুলকেই বয়কট রাজ্যের শীর্ষ দলীয় নেতাদের, যা বিধানসভা ভোটের মুখে কংগ্রেস সম্পর্কে জনমানসে ভাবমূর্তিতে বিরাট ধাক্কা দেবে বলে অভিমত রাজনৈতিক মহলের। ২০১৭র বিধানসভা ভোটে ১১৭টির মধ্যে একাই ৭৭টি পেয়েছিল কংগ্রেস, শিরোমনি অকালি দল মাত্র ১৮টি আসন পায়। আমআদমি পার্টি (আপ) ২০টি আসন জিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনধারী দল হয়। কিন্তু একচ্ছত্র আধিপত্য থাকলেও একের পর এক ঘরোয়া কোন্দলে জেরবার হয় কংগ্রেস। সিধু দায়িত্ব পেয়েই নিশানা করা শুরু করেন ক্যাপ্টেনকে, গুরু গ্রন্থ সাহিবের পবিত্রতা নষ্ট হওয়া ও মাদক মামলায় ন্যয়বিচারে কেন দেরি হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে। সংঘাত তুঙ্গে ওঠে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর যখন মুখ্যমন্ত্রীকে অন্ধকারে রেখে কংগ্রেস পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়। শেষ পর্যন্ত ‘অপমানে’র প্রতিবাদে ক্যাপ্টেন নিজেই ইস্তফা দেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অভিমত, কংগ্রেস যত অশান্তিতে দীর্ণ হবে, তত ভাল হবে আপের অবস্থা। শেষ পর্যন্ত ২০ ফেব্রুয়ারির ভোটে কংগ্রেসের কী ফল হয়, সেদিকেই নজর থাকবে। কংগ্রেসের ঘরোয়া কলহ নিয়ে শিরোমনি অকালি দল থেকে বিজেপিতে নাম লেখানো মনিন্দর সিং সিরসার বক্তব্য, কংগ্রেসে বিদ্রোহ তো স্বাভাবিক। দুটো কারণের কথা মনে হয়। রাহুল আজ দরবার সাহিব যাচ্ছেন। কিন্তু তাঁর পরিবারই তো অতীতে ট্যাঙ্ক চালিয়েছিল সেখানে। সবাই বোঝে, রাহুলের সেখানে যাওয়ার পিছনে রাজনীতি আছে!