শেষ আপডেট: 19th September 2024 12:00
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: বৃহস্পতিবার বিদ্যাধরীর খাল থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের দেহ। মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে গেলে তাঁদের জালে জড়িয়ে যায় দেহটি। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তাঁরা। থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। পরে দেহটি শনাক্ত করে মৃতের পরিবার। জানা যায় মৃতের নাম বিশ্বজিৎ মুন্ডা। বসিরহাটের মাটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুলতলা এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ওই যুবক।
পুলিশসূত্রে জানা গেছে, ১৭ ই সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বিশ্বজিৎ ও তাঁর দুই বন্ধু শিয়ালদহ- হাসনাবাদ ডাউন লোকালে মালতীপুর স্টেশনে নামেন। সেখানে সাইকেল গ্যারেজে তাঁদের সাইকেল রাখা থাকে। রাতে তিন বন্ধু সাইকেল নিতে গেলে গ্যারেজ মালিক পাওনা ১০০ টাকা দাবি করেন। এই নিয়ে বচসা হাতাহাতিতে গড়ায়। গ্যারেজ মালিক বাবু মণ্ডল ও তার লোকজন তিন শ্রমিককে বেধড়ক মারধর শুরু করে। কোনমতে দুই বন্ধু পালিয়ে গেলেও বিশ্বজিৎ পালাতে পারেননি। অভিযোগ, নিস্তেজ হয়ে পড়লে তাকে পাশের বিদ্যাধরী খালে ফেলে দেয় অভিযুক্তরা।
সারা রাত তিনি বাড়িতে না ফেরায় মাটিয়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে বিশ্বজিতের পরিবার। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা পর এদিন ভোরে মৎস্যজীবীর জালে ওঠে মৃতদেহটি। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে আদিবাসী পাড়ায়। বিশ্বজিতের স্ত্রী পায়েল মুণ্ডার অভিযোগ, ১০০ টাকার জন্য মারধর করে খুন করে তাঁর স্বামীর দেহ পাশে নদীতে ফেলে দিয়েছে বাবু মণ্ডল-সহ বেশ কয়েকজন। মাটিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
পুলিশ ইতিমধ্যে এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের আজ বসিরহাট মহকুমা আদালতে তোলা হবে। শুধু পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে গন্ডগোল, না পুরনো শত্রুতার জেরে এমন ঘটনা, খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।