শেষ আপডেট: 26th July 2024 12:44
দ্য ওয়াল ব্য়ুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কুলতলির নকল সোনার কারবারি সাদ্দামের বাড়িতে সুড়ঙ্গের হদিশ পেয়েছিল পুলিশ।
খাটের নীচ দিয়ে সেই সুড়ঙ্গ চলে গেছে একেবারে মাতলা নদীর খাল পর্যন্ত। সোনারপুরের দুষ্কৃতী জামালের প্রাসাদোপম বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে খোঁজ মিলল পাতালঘরের। এই ঘরটি জামাল কেন তৈরি করেছিল, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে জামালউদ্দিন সর্দারকে নিয়ে সোনারপুর থানার পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালায়। তল্লাশির সময়ই তাঁর বাড়ির নীচে খোঁজ মেলে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড চেম্বারের। তারপরেই নানা প্রশ্ন জাগে পুলিশের মনে। জামাল অবশ্য দাবি করতে থাকেন ওই গুপ্তঘর আসলে জলের ট্যাঙ্ক। পুলিশ অবশ্য সেই দাবি মানতে চায়নি। সোনারপুর থানার আধিকারিকরা জানান সেটি সত্যিই জলের ট্যাঙ্ক নাকি গোপন কিছু লুকিয়ে রাখার জন্য ঘরটি তৈরি করেছিল জামাল তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।
সোনারপুরের ত্রাস জামালউদ্দিন সর্দারের বিরুদ্ধে সালিশি সভায় এক মহিলার পায়ে শিকল বেঁধে অমানুষিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এই নিয়ে ৭ জুলাই সোনারপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, এই প্রথম নয়, জামালউদ্দিন এর আগেও এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। এলাকার অনেকের জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে। প্রতিবাদ করলেই বাড়িতে ধরে এনে অমানুষিক নির্যাতন চালিয়েছে। তারপরেই শুরু হয় জামালের খোঁজ।
বেশ কয়েকদিন গা ঢাকা দেওয়ার পর গত সপ্তাহেই কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স ও নরেন্দ্রপুর থানার বর্ডার এলাকা থেকে জামালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপরেই জামাল সম্পর্কে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে। পরের পর গ্রামবাসী জামালের বিরুদ্ধে সালিশি সভা বসিয়ে হেনস্থা করা, তোলাবাজির অভিযোগ করেছেন। এমনকী জামালের নিজের দাদা এবং মা-ও, তাঁর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগ করেছেন।
খোঁজ মেলে সোনারপুরে জামালের প্রাসাদোপম বাড়ির। বাড়ির ভিতর সুইমিং পুল। সেখানে ছাড়া রয়েছে কচ্ছপ। ঘোড়ার সাধ ছিল জামালের, সেই সাধ পূরণ করতে কেনা হয়েছে ঘোড়াও। কীভাবে এই বিশাল সম্পত্তি তৈরি করল জামাল, তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। তদন্ত চলছে। এদিন ভোররাতে জামালকে সঙ্গে নিয়ে সোনারপুরের প্রাসাদোপম বাড়িতে যায় পুলিশ। তার বাড়িতে মাটির নীচে একটি ঘর আছে বলে আগেই খবর পেয়েছিল পুলিশ। সেই পাতালঘরের সন্ধানে ওই জায়গাটি খুঁড়তে শুরু করে পুলিশ। বেশ কয়েকটি জলের ট্যাঙ্ক ছিল, সেগুলিও খুলে দেখা হয়েছে। একটি ১৫ হাজার লিটারের বিশাল জলের ট্যাঙ্কে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই পাতালঘরটিকেও জলের ট্যাঙ্ক বলেই দাবি করে জামাল।