শেষ আপডেট: 5th January 2025 18:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সাক্ষী দিতে এসে আদালত চত্বরের ভিতরেই ধর্ষিতা নাবালিকাকে হুমকির অভিযোগ উঠল অভিযুক্তের বন্ধুদের বিরুদ্ধে। বিষয়টি সামনে আসতেই সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন বনগাঁ মহকুমা আদালতের বিচারক। পাশাপাশি নির্যাতিতাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
গত বছর জুন মাসে বনগাঁ থানা এলাকার বাসিন্দা ১৫ বছর বয়সি নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে সৎ বাবার বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, মায়ের দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী প্রলোভন দেখিয়ে গোপালনগর থানা এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এই মর্মে গোপালনগর থানায় জাকির মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর থেকেই অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছে।
শনিবার এই ঘটনার প্রথম সাক্ষ্যদানের দিন ছিল। সেই মতো আদালতে উপস্থিত হন নির্যাতিতা ও তাঁর মা। বনগাঁ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সমীর দাসের দাবি, বিচারকের সামনে এসে নাবালিকা কান্নায় ভেঙে পড়ে। সে সময় বিচারক ঘটনার কথা জানতে চাইলে নাবালিকা ছাত্রী দাবি করে কোর্ট চত্বরের ভিতরেই অভিযুক্ত জাকির মন্ডলের দুই বন্ধু তাকে ও মাকে খুনের হুমকি দেয়।
তাঁদের হুমকি দেওয়া হয়, আদালতে মিথ্যে সাক্ষী না দিলে নাবালিকা এবং তাঁর মা আদালত চত্বর থেকে বেঁচে বাড়ি ফিরতে পারবে না। এরপর বিচারক আদালতের সিসিটিভি ফুটেজ যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। তড়িঘড়ি ডেকে পাঠানো হয় গোপালনগর থানার ওসি অসীম পালকে। নির্যাতিতা নাবালিকাকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে রীতিমতো আতঙ্কিত নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।