শেষ আপডেট: 26th October 2024 16:54
নকিব উদ্দিন গাজী
শনিবার সকালে ঝলমলে রোদের দেখা মেলায় দানার আতঙ্ক কাটল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকায়। তারপরেই শুরু হয় ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নিকেষ। একই সঙ্গে ছন্দে ফেরার চেষ্টা শুরু হয় গঙ্গাসাগর-বকখালি-কাকদ্বীপ-ডায়মন্ডহারবার-গোসাবা-ক্যানিং-বাসন্তী সহ দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূলবর্তী এলাকায়।
সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা জানান, গোসাবা থেকে গঙ্গাসাগর প্রায় দশ হাজার মাটির বাড়ি ভেঙে পড়েছে।
পাথরপ্রতিমা এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক কিশোরের। উপকূলবর্তী এলাকায় ধান, সবজি এবং পানের বরজের ক্ষতি হয়েছে। সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় ৭৬ টি দুর্বল বাঁধ ছিল। কিন্তু সেই সব এলাকায় আগে থেকে আপৎকালীন কাজ হওয়ায় কোথাও বাঁধ ভাঙেনি।
ঘূর্ণিঝড় দানা আছড়ে পড়তে পারে এই আশঙ্কায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ফেরি পরিষেবা। দুর্যোগের মেঘ কাটতেই নদীপথে ফেরি সার্ভিস চালু করার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেইমতো শনিবার সকাল থেকে গঙ্গাসাগরে কচুবেড়িয়া লট নম্বর এইট থেকে মুড়িগঙ্গা নদীর উপরে ভেসেল পরিষেবা চালু হয়। ডায়মন্ডহারবার-রায়চক-নুরপুর-নামখানাতেও চালু হয় ফেরি পরিষেবা।
কয়েকদিন টানা বৃষ্টির ফলে গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির আশ্রম চত্বর ছিল একেবারে শুনশান। শনিবার সকাল থেকে সেখানেও ছবিটা স্বাভাবিক। তবে দুর্যোগের মেঘ কেটে সূর্যের দেখা মিললেও অন্ধকারে ডুবে রইল পাথরপ্রতিমা ব্লকের শ্রীধর নগর এলাকা। ঝড়ের দাপটে ঘরের ছাদে ভেঙে পড়া গাছের ডাল সরাতে গিয়ে সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায় এই গ্রামের বাসিন্দা ১৭ বছরের কিশোর শুভজিৎ দাস। ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর বাবা-মা। ডানা সরলেও তার স্থায়ী প্রভাব রয়ে গেল এই পরিবারে।
শনিবার ওই কিশোরের পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা তুলে দিলেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার। সঙ্গে ছিলেন পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীরকুমার জানা, জেলা পরিষদের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও পাথরপ্রতিমা ব্লকের আধিকারিকরা।