শেষ আপডেট: 2nd January 2025 20:52
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মুখ্যমন্ত্রী সভা করে যাওয়ার আটচল্লিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই ফের অশান্ত হয়ে উঠল সন্দেশখালি। এবার তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো অশান্তি ছড়িয়েছে সরবেড়িয়া-আগারহাটি পঞ্চায়েত এলাকায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ বেশ কয়েকটি গুলির খোল উদ্ধার করেছে বলে খবর।
কে বা কারা এমন কাণ্ড ঘটাল তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। জানা গেছে, গুলি চলার সময় বাড়িতেই ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান যাদবকুমার মণ্ডল। যদিও, বাড়ির বাইরে কেউ না বেরনোয় হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। তবে, কেন গুলি চলল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ শাসকদলের পঞ্চায়েত প্রধানই। এই বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না, বলে দাবি।
ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে তৃণমূল নেতা যাদবকুমার মণ্ডলের অভিযোগ, ‘বুধবার রাতে বাইরে কিছু ফাটার আওয়াজ পাই। দাদা বলল, ঘরের বাইরে কারা দাঁড়িয়ে আছ। পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে বন্দুক বের করে গুলি করছে। আমার সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। পুলিশকে সমস্ত ঘটনা জানিয়েছি। বাড়ি থেকে গুলির খোল উদ্ধার করে নিয়ে গেছে ন্যাজাট থানার পুলিশ। এ ধরনের ঘটনার সন্মুখীন আগে কখনও হতে হয়নি।’
সরবেড়িয়া এলাকাতেই বাড়ি তৃণমূল পঞ্চায়েত তৃণমূল প্রধান যাদবকুমার মণ্ডলের। আগে এই পঞ্চায়েতের দায়িত্ব ছিল শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ জিয়াউদ্দিন মোল্লার কাঁধে। ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় শাহজাহানের সঙ্গে গ্রেফতার হতে হয় তাঁকেও। বর্তমানে তিনি জেল হেফাজতে। তাঁর জায়গায় সরবেড়িয়া-আগারহাটি পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় যাদবকুমার মণ্ডলকে। সেই পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি লক্ষ্য করেই বুধবার গভীর রাতে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।
যদিও পুরো বিষয়টিকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেছে বিরোধী দল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছাড়া কিছুই নয়। শেখ শাহজাহান পরবর্তী সন্দেশখালি কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে শাহজাহান গোষ্ঠী এবং বিধায়ক সুকুমার মাহাতো গোষ্ঠীর লড়াই চলছে।