শেষ আপডেট: 11th November 2024 16:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল দাদুর বিরুদ্ধে। একদিন নয়, দিনের পর দিন দাদু এই কুকর্ম চালাত বলে অভিযোগ। অসুস্থ হয়ে পড়ে মুখ খুলল নাতনি। তারপরেই গ্রেফতার করা হয় ওই প্রৌঢ়কে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কয়েক বছর আগে নাবালিকার মায়ের মৃত্যু হয়। তারপরেই দুই মেয়েকে দাদুর কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল তাদের বাবা। সেই থেকে বনগাঁ থানা এলাকার চাঁদা গ্রামে দাদুর কাছে থাকত দুই বোন। এই বাড়িতেই ১৪ বছরের কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, কিশোরীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করতেন অভিযুক্ত দাদু। এমনকী সে কথা কাউকে জানালে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিতেন। এমনকী প্রাণনাশের হুমকি দিতেন। তাই ভয়ে ঘটনার কথা কাউকে বলেনি নাতনি। রবিবার হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে ওই নাবালিকা। তখন স্থানীয় মহিলাদের কাছে সমস্ত খুলে বলে সে।
দাদুর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ জানাজানি হতেই গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। এরপরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। থানায় গিয়ে দাদুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে কিশোরী। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে বনগাঁ থানার পুলিশ। নির্যাতিতা কিশোরীকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনের ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের কড়া শাস্তির দাবি করেছেন প্রতিবেশীরাও। তবে দাদুর কারাবাস হলে নাতনিরা কোথায় থাকবে সেটাও ভাবাচ্ছে তাদের।