শেষ আপডেট: 24th October 2024 17:16
নকিবউদ্দিন গাজি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতেই আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় দানা। তাই প্রশাসনের প্রস্তুতি তুঙ্গে । এরইমধ্যে সুন্দরবনে বাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়লেন মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার ও সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
বৃহস্পতিবার ফ্রেজারগঞ্জের কোস্টাল থানার সংলগ্ন নদী বাঁধ পরিদর্শন করতে আসেন মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার। পৌঁছে দেখেন নদী বাঁধের বেশ কিছুটা অংশ ভাঙা। সঙ্গে সঙ্গে সেচ দফতরের আধিকারিকদের বিষয়টি জানান তিনি। বিপদের আশঙ্কা করে দ্রুত বাঁধ মেরামতির কথা জানান।
তাঁদের দেখেই ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয় মানুষজন। তাঁদের বক্তব্য প্রতিবছর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় এলাকা। ঘরবাড়িতে জল ঢুকে বিপর্যস্ত হয় জনজীবন। কিন্তু স্থায়ী সমাধান করতে এগিয়ে আসে না কেউ। এখন দানার ভয়ে কাঁটা হয়ে আছেন মানুষ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব ঠিক কতটা পড়বে তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে বাঁধ দর্শনে আসা মন্ত্রী-সাংসদদের দেখে ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা।
একইসঙ্গে বিজয়বাটির নদী-তীরবর্তী এলাকা থেকে অনেক মানুষকে এখনও সরিয়ে আনা হয়নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। তবে সাংসদ বাপি হালদার জানান, এলাকার মানুষকে আগে থেকেই সচেতন করা হয়েছে। বারবার মাইকে বলা হয়েছে। তা সত্ত্বেও অনেকেই নিরাপদ স্থানে আসেননি। তাও প্রশাসন চেষ্টা করছে বিপদজনক এলাকায় থাকা প্রত্যেককে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে আনতে।
নামখানা-নাদাভাঙা-মৌসুনি দ্বীপ-ফ্রেজারগঞ্জ-সাগরের বিভিন্ন এলাকায় বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে নদীর জল ঢুকতে শুরু করায় এলাকার মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। এলাকায় রয়েছে পানের একাধিক বরজ। মাঠে রয়েছে ধানও। ঘর আর ফসল বাঁচানো যাবে কি! আশঙ্কায় ভুগছেন স্থানীয় মানুষজন।