শেষ আপডেট: 22nd September 2024 21:17
দ্য ওয়াল ব্যুরো: টানা ৩৬ ঘণ্টা লড়াই করেও শেষরক্ষা হল না। শুক্রবার মাঝ রাতে বঙ্গোপসাগরে টর্নেডোর মধ্যে পড়ে ডুবে গিয়েছিল মৎস্যজীবীদের একটি ট্রলার। শেষমেশ কাকদ্বীপের ডুবে যাওয়া ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার ৮ মৎস্যজীবীর দেহ। অন্যদিকে, নিরঞ্জন দাস নামে এখনও এক মৎস্যজীবী নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী দল।
এফবি গোবিন্দ নামে ওই ট্রলারে মোট ৯ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। শুক্রবার দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন সকলেই। শনিবার সকালে খবর পেয়েই ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারের জন্য কাকদ্বীপ থেকে রওনা দিয়েছিল বেশ কয়েকটি ট্রলার। অবশেষে অনেক সমস্যা, বাধা বিপত্তি কাটিয়ে রবিবার সকাল থেকে শুরু হয় উদ্ধারকাজ।
বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া ট্রলারটিকে এদিন প্রায় আটটি মৎস্যজীবী ট্রলার দিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের হরিপুরের অদূরে লুথিয়ান দ্বীপে টেনে নিয়ে আসা হয়। এরপর ট্রলারে তল্লাশি চালিয়ে ৮ জন মৎস্যজীবীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পরে হরিপুরের ঘাটে তাঁদের দেহ শনাক্তকরণের কাজ শুরু হয়। একজন মৎস্যজীবী এখনও নিখোঁজ। তাঁর খোঁজেও তল্লাশি শুরু চলেছে।
মৃতদেহগুলি ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য কাকদ্বীপে পাঠানো হয়েছে। তার আগে প্রশাসনের তরফে ওই দেহগুলি শনাক্ত করার জন্য রবিবারই পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়। পরে সকলের হাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তুলে দেওয়া হয় সরকারি কাগজপত্র। এদিকে মৃত মৎস্যজীবীদের পরিবারকে রাজ্য আর্থিক সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
এদিন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরার পাশাপাশি মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার, সুন্দরবন পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।