শেষ আপডেট: 20th October 2024 13:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: নেশা ছাড়াবার নামে মারধর করা হতো। ঠিকমতো খেতে দেওয়া হতো না। এমন অভিযোগে নেশামুক্তি কেন্দ্রে ভাঙচুর চালালেন ৪০-৪২ আবাসিক। সুযোগ পেয়ে গেলেন ২২ জন। শুক্রবার হাবরার ফুলতলা এলাকার একটি নেশা মুক্তি কেন্দ্রের এই ঘটনা ঘটে।
প্রশ্ন উঠেছে স্বাস্থ্য বিভাগ ও সমাজ কল্যাণ সুরক্ষা দফতরের বিরুদ্ধে। কারণ নেশামুক্তি কেন্দ্রগুলিতে নজরদারি রাখে এই দুই দফতর। এই ঘটনাটি সামনে আসতেই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দুই দফতর নেশা মুক্তি কেন্দ্রগুলির উপর ঠিকঠাক নজরদারি রাখছে না। তাই নেশা ছাড়াতে এসে অমানবিক অত্যাচার শিকার হচ্ছেন অনেকেই। এই ঘটনা তার উদাহরণ।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে আচমকাই আস্থা ফাউন্ডেশন নামে একটি নেশামুক্তি কেন্দ্রের ভেতরে থেকে গন্ডগোলের আঁচ পেয়েছিলেন তাঁরা। পরে দেখা যায়, কেন্দ্রে মধ্যে ভাঙচুর চালাচ্ছেন আবাসিকরা। গেট ভেঙে কয়েকজন পালাচ্ছেন। এরপরে স্থানীয়রাই পুলিশ ডাকেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় হাবরা থানার পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নেশামুক্তির কেন্দ্রের এক সদস্যের দাবি, শুক্রবার তিনি ওয়ার্ডেই ছিলেন। আচমকা লাইট বন্ধ করে তাঁকে মারধর করতে শুরু করে কয়েকজন আবাসিক। সমস্ত জিনিসপত্র লণ্ডভণ্ড করে দেয়।
এক আবাসিকের দাবি, তিনি ৯ মাস এই কেন্দ্রে গাঁজার নেশা ছাড়াতে এসেছেন। তিনি কর্তৃপক্ষের অমানবিক অত্যাচারের শিকার। তাদের সকলকেই ঘরে আটকে রাখা হতো। কথা বলতে দেওয়া হতো না। কিছু ভুল করলেই জুটত মার। খাবারে ফেনা ভাত, রুটি ছাড়া কিছুই জুটত না।
আরও এক আবাসিকের অভিযোগ, কর্তৃপক্ষের শারীরিক নির্যাতনের চালাত। শাস্তিস্বরূপ সারাদিন বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখা হতো। অনেক সময়েই তাঁদের খেতে দেওয়া হতো না। অবাধ্য হলেই জুটত মার। তাই ক্ষোভে এদিন ভাঙচুর চালানো হয়েছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে নেশামুক্তি কেন্দ্রের কর্ণধার দেবা কাহারের কথায়, "এখানে আবাসিকদের মারধর করা হয় না। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। একেবারে নিয়ম মেনে এখানে নেশামুক্তিকরণের কাজ চলে। শুক্রবার ৪০-৪২ জন আবাসিক পুরোন আবাসিকদের উপর হামলা চালিয়েছিল। স্থানীয় ও পুলিশের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ইতিমধ্যে ২২জন আবাসিক কেন্দ্র থেকে পালিয়ে গিয়েছে। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।"