শেষ আপডেট: 13th September 2024 18:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: পেটে যন্ত্রনা নিয়ে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে গেছিলেন এক যুবক। রোগীকে ঠিকমত না দেখে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া অভিযোগ উঠল কর্তব্যরত ডাক্তারের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। পরে রোগীকে নার্সিংহোমে ভর্তি করতে হয়েছে স্থানীয়দের।
পূর্ব খিলগাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা আমজাদ আলি। পেশায় তিনি ভ্যান চালক। স্ত্রী দুই সন্তান মাকে নিয়ে থাকেন। দুদিন ধরে তাঁর পেটে ব্যথা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করে আমজাদ। পরিবারের লোকজন থাকে বারাসত হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। প্রথমে হাসপাতালে স্ট্রেচার পাওয়া যায়নি। পরে সকলে মিলে আমজাদকে জরুরি বিভাগের ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান।
ওই যুবকে মা রহিমা বিবির অভিযোগ, ছেলে ব্যথায় সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারছিল না। তাই তাকে সকলে মিলে ডাক্তারবাবুর কাছে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যেতে দুর্ব্যবহার শুরু করেন কর্তব্যরত চিকিৎক বলেন, "এই সমস্ত রোগীকে গলা ধাক্কা নিয়ে বের করে দেওয়া উচিত। এই সব রোগীর জায়গা হাসপাতাল নয়।"
বৃদ্ধার দাবি, বারে বারে চিকিৎসা শুরু আবেদন করলেও ডাক্তারবাবু দুর্ব্যবহার করতে থাকেন। অবশেষে স্থানীয়রা আমজাদকে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করান। সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
স্থানীয় এক যুবক বলেন, চিকিৎসকদের জন্য রাস্তায় নেমে আন্দোলেন সামিল হয়েছেন সাধারণ মানুষ। অথচ ডাক্তারবাবুরই এখন এমন দুর্ব্যবহার করছেন। এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের আরও অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কিছু ব্যবস্থা নেয়নি।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কর্তব্য়রত ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে সুপার ও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগীর আত্মীয় স্বজন। তাঁরা এই ঘটনায় চিকিৎসকের শাস্তি চান।
রহিমা জানিয়েছেন, তাঁরা খেটে খাওয়া মানুষ। বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে রেখে ছেলেকে চিকিৎসা করার ক্ষমতা নেই তাঁদের। কীভাবে নার্সিংহোমের বিল মেটাবে তাই ভেবে কূলকিনারা পাচ্ছেন। স্থানীয়রাই তাঁদের যথাসাধ্য সাহায্য করছেন। কেন তাঁর ছেলেকে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হল না, এর বিচার চান রহিমা।