শেষ আপডেট: 20th October 2024 20:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: দেড় মাস জলবন্দি স্বরূপনগর ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম। রবিবার জল সরাতে খাল কাটতে নেমে পড়লেন গ্রামবাসীরা।। রবিবার কোদাল দিয়ে যমুনা নদীর খাল কাটলেন তাঁরা।
কালীপুজোয় বঙ্গোপসাগরে ঘনিভূত হচ্ছে ডানা। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ফের বিপদের আশঙ্কায় রয়েছেন সুন্দরবন অঞ্চলের মানুষ। স্বরূপনগর ব্লকে সুন্দরবনের একটি অংশ। তাই দুর্ভোগ কমাতে ডানা আসার আগেই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে চাইছিলেন সেখানকার বাসিন্দারা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, লাগাতার বৃষ্টিতে ইছামতি-পদ্মা-যমুনার নদীতে জলস্ফীতি দেখা গিয়েছিল। তখন বাঁধ ছাপিয়ে জল ঢুকেছিল গ্রামে। বেহাল নিকাশি ব্যবস্থা থাকায় স্বরূপ নগর ব্লকের চারঘাট, সগুনা, গোবিন্দপুর, তেপুল মির্জাপুর এই চারটি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছিলেন। নোনা জল ঢুকে চাষের ক্ষতি করেছে। পুজোর দিনগুলিতেও তাঁরা জলবন্দি অবস্থায় কাটিয়েছেন। সামনেই এবার কালীপুজো। সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ডানাও ধেয়ে আসছে। ফলে আরও বেশি ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামলাতে গ্রামের গতদিনের ঝড়-বৃষ্টির জন্য নিজেরাই নামিয়ে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।
গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে জমিতে নোনাজল ঢুকে চাষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেরিতেও নোনা জল ঢুকে যাওয়া মাছ চাষ কুপ্রভাব পড়েছে। বাড়িতে এবার দীপাবলীর আলো জ্বলবে কিনা তাও তারা জানেন না। চারিদিকে নোনা জল ঢুকে পড়ায় চর্মরোগ, ডায়ারিয়াতে আক্রান্ত হচ্ছেন গ্রামবাসীরা। প্রশাসনও এবিষয়ে নজর দিচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়নি নোনা জল নিকেশ করতে চারঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের টিপি যমুনা খাল কেটে দেওয়া হয়েছে।
এদিন কোদাল নিয়ে খাল কাটতে নেমে পড়েছিলেন স্থানীয়রা। সারাদিন ধরে এভাবেই তাঁরা গ্রাম থেকে নোনা জল নিকেশ করার ব্যবস্থা করেন।