শেষ আপডেট: 6th January 2025 19:43
প্রতীতি ঘোষ, উত্তর ২৪ পরগনা
৩৭৩ বছরের পুরোনো ব্যারাকপুরের সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দির। সেখানে ধুমধাম করে পালিত হল অন্নকূট উৎসব। প্রায় আড়াই হাজার কেজি চাল ও পাঁচ হাজার কেজি সবজি দিয়ে ভোগ দেওয়া হল দেবী সিদ্ধেশ্বরীকে।
নৈহাটির বড় মায়ের মতো জাগ্রত ব্য়ারাকপুরের সিদ্ধেশ্বরী কালী। প্রতিবছর অন্নকূট উৎসবে মনোবাঞ্ছা নিয়ে বহু মানুষ আসেন এখানে। পুজো দেন। রাশি রাশি চাল ও সবজির চূড়া তৈরি করে দেবীকে ভোগ দেওয়া হয়। এরপরে সেই ভোগ ভক্তদের মধ্যে বিলি করা হয়। এবারও ব্য়তিক্রম হয়নি। দূরদূরান্ত থেকে বহু ভক্ত সেখানে এসেছিলেন। রবিবার অন্নকূটে যোগ দিতে বহু পুণ্যার্থী এসেছিলেন সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে পুজো দিতে আসেন মহকুমা শাসক সৌরভ বারিকও।
তিনি জানান, জাগ্রত এই দেবীর মন্দিরকে হেরিটেজ করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি তিনি প্রশাসনিক স্তরে বিচার বিবেচনা করবেন।
কথিত আছে, রামস্মরণ নামে এক ব্রাহ্মণ দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে সিদ্ধেশ্বরীর এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এই কালী মন্দির নিয়ে বহু জনশ্রুতি রয়েছে। অনেকে বলেন, এক সময়ে এই মন্দিরে যাত্রাপালা হতো। সেখানে দেবী নিজে আসতেন যাত্রাপালা দেখতে। একদিন তিনি তাঁর নাকের নথ ফেলে গেছিলেন। পরে মন্দিরের কাছে একটি তাল গাছে থেকে সেই নথ পাওয়া যায়।
মন্দিরের পরিচালন কমিটির সম্পাদক উজ্জ্বল রায় জানান, খুবই জাগ্রত এই দেবীর মন্দির। ভক্তদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করেন দেবী। তাই প্রতিবছরই অন্নকূট উৎসবে সামিল হন বহু মানুষ।