Advertisement
মৃতের পরিবারের পাশে বেঙ্গল মেন্স ফোরামের নন্দিনী ভট্টাচার্য
Advertisement
শেষ আপডেট: 12 July 2024 16:59
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: শ্বশুর-শাশুড়ির দাবি করা ৫ লক্ষ টাকা দিতে পারেননি! তাই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হয়েছিলেন ২৭ বছরের এক যুবক। বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন মৃতের পরিবার। এরপরেই গ্রেফতার হন শ্বশুর-শাশুড়ি। শুক্রবার ছিল মামলার শুনানি। সেখানে আদালতের কাছে আগাম জামিন চাইল ধৃতরা। তবে বিষয়টি জানতে পেরে মৃত যুবকের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন অল বেঙ্গল মেন্স ফোরামের নন্দিনী ভট্টাচার্য।
তাঁর অভিযোগ, খবরে শিরোনামে পণের জন্য মহিলাদের আত্মঘাতী হওয়ার কথা উঠে আসে। কিন্তু পুরুষও শ্বশুরবাড়িতে অত্যাচারিত হয়, এই ঘটনা তারই উদাহরণ। শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের ২৭ বছরের যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনাও কাম্য নয়। গোটা দেশে পুরুষরা অত্যাচারিত হচ্ছে। কিন্তু ঘটনাগুলি রেকর্ড রাখা হয় না। কারণ কোথাও অভিযোগ জানানোর সুযোগ নেই। এখন কিছু কিছু মামলা নথিভুক্ত হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানাগিয়েছে, ২০দিন আগে বারাসতের লঙ্কাবাগান রাধাকৃষ্ণপল্লির বাড়ি থেকে সুধাংশু দাস নামে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া ছিল। এরপরেই মৃতের বাবা মা ও দিদির অভিযোগ করেন, তাঁদের ছেলেকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেই চাপ সহ্য না করতে পেরে আত্মঘাতী হয়েছেন সুধাংশু। তাই তাঁর মৃত্যুতে শ্বশুরবাড়ির পরিবার সম্পূর্ণ দায়ী।
মৃতের দিদি সুনিতা ওঝা জানিয়েছেন, বিয়ের পরে থেকে অশান্তি হচ্ছিল। বাবার মৃত্যুর পরে স্ত্রীকে নিয়ে সুধাংশু শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করেন। ওই মহিলার অভিযোগ, ভাই সুধাংশুকে মারধর করতেন স্ত্রী-শাশুড়ি। পাঁচ লক্ষ টাকা চেয়ে শ্বশুর হুমকিও দিয়েছিলেন। বিষয়গুলির কথা সুধাংশু নিজের বাড়িতে খুলে বলতে পারেননি। দিদি সুনিতার দাবি, প্রায়ই সুধাংশু তাঁর বাড়িতে এসে কান্নাকাটি করতেন। ঘটনার আগের দিও সুধাংশু মায়ের কাছে কেঁদে ছিলেন।
শুক্রবার ধৃত শ্বশুর-শাশুড়িকে বারাসত আদালতে তোলা হয়েছিল। এদিন অভিযুক্তরা আগাম জামিনের আবেদন করেন। তবে মৃতের বাপেরবাড়ির পরিবার পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছে। তাদের দাবি, মৃতের স্ত্রী ও শ্যালিকাকে গ্রেফতার করতে হবে।
Advertisement
Advertisement