শেষ আপডেট: 6th October 2024 20:38
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: পুলিশের সামনেই ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রীকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ এনেছিল পরিবার। গ্রামবাসীদেরও অভিযোগ ছিল, অভিযুক্ত যুবক শাসকদলের নেতার ছেলে, তাই পুলিশ গ্রেফতার করছে না।
পরিবার জানিয়েছে, পুলিশ কোনও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে তাদের আশঙ্কা ছিল, যে কোনও মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। চার বছর ধরে এই ভয়ে থাকার পরে, শেষমেশ বড় হামলা ঘটে গেলে, তবে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল দত্তপুকুর থানা। রবিবার তাকে বারাসত জেলা আদালতে তোলা হয়।
বারাসত মহকুমার দত্তপুকুর থানায় এলাকার কোটা গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে পড়ে মুক্তারপুর গ্রাম। সেই গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রী। বাবার অভিযোগ, চার বছর ধরে গ্রামেরই যুবক ইনজামুল হক ওরফে শুভ তাঁর মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিল। নানা কুপ্রস্তাবও দেয় সে। মেয়ে তাতে রাজি হয়নি।
জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল ওই কিশোরী। তখনই তার উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ইনজামুল। পুলিশের সামনেই তাকে অ্যাসিড ছুড়ে মারার হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে কোনওভাবে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান বাবা।
ইনজামুলের বিরুদ্ধে দত্তপুকুর থানায় আগেই লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। কিন্তু তখনও পর্যন্ত ইনজামুলের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। বরং প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছিল ইনজামুল। ফলে আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছিল ছাত্রীর পরিবারকে। পড়াশোনা শিকেয় তুলে কার্যত গৃহবন্দি হয়ে বসেছিল ক্লাস ইলেভেনের ওই ছাত্রী।
শেষমেশ শুক্রবার রাতে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। দুপুর ২টো নাগাদ অভিযুক্তকে নিয়ে আসা হয় বারাসাত জেলা আদালতে।
অভিযুক্ত গ্রেফতারের পরে কিশোরীর বাবা বলেন, 'পুলিশ আমাদের সাহায্য করেছে। কিন্তু সাদা কাগজে সই করিয়েছে। কেন তা করানো হয়েছে জানা নেই। তবু আমার পুলিশের উপর আস্থা আছে। সত্যের জয় হয়।'
শুক্রবার থানায় লিখিত অভিযোগ জানালেও অভিযুক্ত প্রভাবশালীদের মদতেই পালিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল বলে অভিযোগ। তাই পুলিশ ধরতে পারেনি।
কিশোরীর বাবা আরও বলেন, 'ওকে কোর্টে তোলার সময়েও আমাকে হুমকি দিয়েছে। প্রত্যেক মেয়ের বাবা মায়ের উচিত রুখে দাঁড়ানো। স্কুলও এবিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান ও পুলিশ দু'পক্ষই সাহায্য করেছে।'