শাশুড়ি ও স্ত্রীকে খুন, অভিযুক্তের যাবজ্জীবনের সাজা
শেষ আপডেট: 11th September 2024 19:46
দ্য ওয়াল ব্যুরো, উত্তর ২৪ পরগনা: শাশুড়িকে খুনের পর স্ত্রীকে খুন করা অভিযোগ উঠেছিল। ৭ বছর কেটে যাওয়াল পরে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল বারাসত আদালত।
সালটা ২০১৭, স্ত্রীকে ঘরের মধ্যেই পেটে ছুরির কোপ মেরে ঘর বন্ধ করে রেখে দেয় অভিজিৎ দাসগুপ্ত।একদিন পরে স্থানীয়রা টের পেয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই মহিলাকে উদ্ধার করে বারাসত হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে কলকাতার একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানেই মৃত্যু হয় অভিজিতের স্ত্রী সুনিতা দাসগুপ্তর।
এই ঘটনার তিন আগে ছত্তীশগড়ে শাশুড়িকে খুনের অভিযোগ ওঠে অভিজিতের বিরুদ্ধে। জেলা থাকা স্বামী অভিজিৎকে ছাড়িয়ে এনেছিলেন সুনিতাই। তারপর নতুনভাবে জীবন শুরু করার জন্য বারাসত সুবর্ণপত্তম এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতে শুরু করেন ওই দম্পত্তি।
ওই বাড়িতে চরম নৃশংসভাবে সুনিতাকেই খুন করে অভিজিৎ। প্রথমে ছুরি দিয়ে স্ত্রীর কপালে ও নাকে আঘাত করে। তারপর ছুরি দিতে পেট কেটে দেয়। শুধু তাই নয়, রসুন থেঁতো করে পেটে দিয়ে গামছা দিয়ে বেঁধে রাখে। সেইসময় তার ১২ বছর ছেলে বাধা দিতে এলে ছেলেকেও গলায় ছুরি ধরে ভয় দেখায় সে।এরপর অভিজিৎ দুজনকে ঘর বন্ধ করে রেখে পালিয়ে যায়। পরে বাড়িওয়ালা সুনিতা ও তাঁর নাবালক ছেলে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। বারাসত থানায় অভিজিৎ বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তল্লাশি চালানোর পরে অভিযুক্ত অভিজিৎ দাসগুপ্তকে গ্রেফতার করে থানার পুলিশ।
সাত বছর অভিজিৎ জেলেই ছিল। বুধবার তাকে যাবজ্জীবনের সাজা ঘোষণা করল বারাসত এডিজে ৪র্থ কোর্ট বিচারক সৌগত চক্রবর্তী। ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৪৯৮ ধারায় ৩ বছরের জেল ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা। মঙ্গলবার তাকে দোষী করেছিলেন বিচারক। সরকারি আইনজীবী মনোজ প্রামাণিক জানিয়েছেন, মা-হারা ওই নাবালক ছেলে বর্ধমানে রামকৃষ্ণ মিশনে রয়েছে।