শেষ আপডেট: 30th October 2024 16:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চাঁদা তোলার নামে জুলুমবাজির অভিযোগে ধৃতকে থানা থেকে ছাড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠল ক্যানিংয়ের এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। বুধবার সকালে এই ঘটনায় তেতে ওঠে ক্যানিং। পুলিশকে মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ডিজির কাছে থানার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।
সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে ক্যানিংয়ের রায়বাঘিনীর মোড়ে টহল দেওয়ার সময় চাঁদা তোলার নামে জুলুমবাজির অভিযোগে যুব তৃণমূল কর্মী জয়ন্ত ঘোড়ইকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযোগ, বুধবার সকালে তাকে ছাড়াতে ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি অরিত্র বসু এলাকার লোকজনকে নিয়ে ক্যানিং থানায় ঢুকে পড়েন। লকআপ থেকে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
পুলিশের সঙ্গে তুমুল বচসা শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের। অভিযোগ, কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের মারধরও করা হয়। খবর পেয়েই থানায় চলে আসেন ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ। ক্যানিংয়ের এসডিপিও রামকুমার মণ্ডলও ঘটনাস্থলে পৌঁছন। কিন্তু পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খান তাঁরা। অভিযোগ, দলে দলে লোকজন থানায় ঢুকে ঝামেলা শুরু করে।
ইতিমধ্যেই এর বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ডিজির কাছে থানার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ক্যানিং পশ্চিম কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক পরেশ রাম দাস। তিনি বলেন, “আমি সারাদিন কলকাতায় ছিলাম। অরিত্র ঘোষের জ্বর, বাড়িতে ঘুমোচ্ছে। সংবাদ শিরোনামে থাকবেন বলেই শুভেন্দু অধিকারী মিথ্যা বলছেন।”