শেষ আপডেট: 4th January 2025 12:57
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এবার খোদ শিক্ষকের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ। কার্যত হস্টেল ছাড়তে বাধ্য করা হল এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে। ৩০ দিন হতে চলল তার খোঁজ নেই। জীবিত অবস্থায় ছেলে ফিরে না এলে আত্মহত্যার হুমকি ছাত্রের বাবা-মায়ের। ইতিমধ্যেই পুলিশ সুপারের কাছে আল-আমিন মিশনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বসিরহাট মহাকুমার মাটিয়া থানার রাজেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বছর ১৬-র মেধাবী ছাত্র আব্বাস উদ্দিন মণ্ডল। পড়াশোনার সুবাদে হাওড়া আল-আমিন মিশনের হস্টেল থেকে পড়াশোনা করত। ২০২৫-এ মাধ্যমিক দেবে সে।
পরিবার সূত্রে খবর, ২০২৪-এর ৬ ডিসেম্বর হঠাৎই হস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে যায় সে। সেই ছবি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে। মিশন কর্তৃপক্ষ নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করে উদয়নারায়ণপুর থানায়। নিখোঁজ ছাত্রের বাবা কুতুবউদ্দিন মোল্লা, মা রোজিনা বিবি জানান, 'আমরা আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের খোঁজ পাইনি। মিশনে গেলে কর্তৃপক্ষ বলে, এই বিষয়ে আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি প্রশাসন খুঁজছে।
২১ ডিসেম্বরও আব্বাসের দুই সহপাঠী হস্টেল ছেড়ে চলে গিয়েছিল। ২৪ ঘণ্টা পরে প্রশাসন তাদের কলকাতার এসপ্ল্যানেড থেকে উদ্ধার করে। কিন্তু ৩০ দিন পেরোলেও তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার কয়েকদিন বাদে আব্বাসের হাতে লেখা চারটে চিঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। সেখানে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে সে। বলেছে, 'স্যার আমি বাঁচতে চাই না বাঁচতে চাই না। আমাকে ক্ষমা করবেন।'
৬ ডিসেম্বর সন্ধেবেলা হস্টেল থেকে বাইরে চলে যাওয়ার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে মিশন কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জমা দিয়েছে। দুই শিক্ষক সজিবুল ও ফিরোজবাবুর বিরুদ্ধে লেখা চিঠি নিয়ে উদ্ধার ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। নড়েচড়ে বসেছে পরিবারের লোকজনরা।
তাঁদের কথায়, 'আমার ছেলেকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে হস্টেল ছাড়তে বাধ্য করিয়েছেন ওই দুই শিক্ষক। রীতিমতো র্যাগিং করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছেন। আমি যে কোনও মূল্যে আমার ছেলেকে জীবিত অবস্থায় দেখতে চাই। না হলে আমরা আত্মহত্যা করব।'