শেষ আপডেট: 27th February 2024 16:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২০১০ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি। বেলপাহাড়ির শিলদা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র চত্বরে থাকা ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। মাও হামলায় সেদিন নিহত হয়েছিলেন ২৪ জন জওয়ান।
ওই হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার মেদিনীপুর আদালত ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করল। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছেন মেদিনীপুর অতিরিক্ত জেলা এবং দায়রা বিচারক সালিম শাহী। আদালত সূত্রের খবর, বুধবার দোষীদের বক্তব্য শুনবেন বিচারক। তারপরই চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা হবে।
আদালত সূত্রের খবর, ২০১০ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি রাত ৯টা নাগাদ ইএফআর ক্যাম্পে হানা দেয় মাওবাদীরা। একের পর এক জওয়ানকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যার পাশাপাশি ক্যাম্পে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। মৃত্যু হয় ২৪ জন জওয়ানের। অগ্নিদগ্ধ হন আরও ২জন জওয়ান। জওয়ানদের পাল্টা প্রতিরোধে ৫জন মাওবাদীরও মৃত্যু হয়। তবে মাওবাদীরা সংখ্যায় বেশি থাকায় যাওয়ার সময় ক্যাম্প থেকে জওয়ানের অস্ত্র লুঠও করে নিয়ে যায়।
ঘটনার তদন্তে নেমে মাও নেতা রঞ্জন মুন্ডাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একে একে বাকিদেরও গ্রেফতার করা হয়। তবে হামলার অন্যতম অভিযুক্ত মাও নেত্রী সুচিত্রা মাহাত পলাতক ছিলেন। পরে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন সুচিত্রা।
প্রথমে এই মামলা শুরু হয় ঝাড়গ্রাম আদালতে। পরর্বতীতে সেই মামলা শুনানি শুরু হয় পশ্চিম মেদিনীপুর আদালতে। এই মামলায় মোট অভিযুক্ত ছিল ২৪ জন। তাদের মধ্যে সুদীপ চোংদার নামে এক মাওবাদীর আগেই মৃত্যু হয়েছে। বাকি ২৩ জনকে এদিন দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত।
জেলা পুলিশের দাবি, জঙ্গলমহলে বড় ধরনের যে কটি মাও হামলার ঘটনা ঘটেছে, এটি তার মধ্যে সবচেয়ে বড়। কারণ, মাও হামলায় এর আগে জঙ্গলমহলে একসঙ্গে এতজন জওয়ানের নিহত হওয়ার ঘটনা আগে ঘটেনি।