শেষ আপডেট: 21st July 2024 16:07
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিন অনেক কথা ভিড়ে শহিদ মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেন, "যারা আমাদের ভোট দিয়েছে আমরা তাঁদের জন্য কাজ করতে বদ্ধপরিকর, আর যাঁরা আমাদের ভোট দেননি আমরা তাঁদের জন্যও কাজ করতে বদ্ধপরিকর। আমরা যখন ভোটে নির্বাচিত তখন আমাদের আর কোন ধর্ম নেই, আমাদের একটাই ধর্ম মানব ধর্ম, মানব সেবা।"
সম্প্রতি দলের নির্বাচনী পর্যালোচনা বৈঠক থেকে শুভেন্দু বলেছিলেন, "যাঁরা আমাদের ভোট দেয়নি, আমরাও তাঁদের সঙ্গে নেই।" এরপরই ,সরাসরি মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার অভিযোগ এনে বিজেপি থেকে সংখ্যালঘু মোর্চা তুলে দেওয়ার কথাও বলেছিলেন তিনি। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তো বটেই বিজেপির সর্বভারতীয়স্তরেও শোরগোল পড়ে যায়। বিজেপির মোর্চা সেলের প্রধানও শুভেন্দুর এহেন মন্তব্যের বিরোধিতা করেন।
অভিষেক কারও নামোল্লেখ করেননি। তবে পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, শুভেন্দুকে খোঁচা দিতেই এই প্রসঙ্গের অবতারণা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একই সঙ্গে এই বার্তা স্পষ্ট করেছেন, ভোটে জেতার পর তিনি যেই হোন না কেন, তাঁর উচিত এলাকার প্রতিটি নাগরিকের আপদে বিপদে পাশে থাকা।
এদিন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, যাঁরা ভোট দেননি, তাঁরা হয়তো ভুল বুঝে আমাদের ভোট দেননি। যেখানে যেখানে আমরা জিতিনি, সেখানকার মানুষের কাছে গিয়ে ক্ষমা চাইবেন।
এদিনের সভা থেকে এজেন্সি প্রশ্নে বিজেপিকে আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, "বিজেপির নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে লড়াই করতে না পেরে মানুষকে নিপীড়িত, লাঞ্ছিত, অত্যাচারিত, অবহেলিত করে গরিব মানুষের ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করেছে।। এমনকি এখনও পর্যন্ত ১০০ দিনের, আবাসের, রাস্তার কাজের, জলের, মিড ডে মিলের টাকা বন্ধ করেছে। আর মানুষ তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছেন।"
এজেন্সি দিয়ে যে তৃণমূলের মাথা নত করা যাবে না, তা আরও একবার স্পষ্ট করে অভিষেক এও বলেন, "আমাদের দম্ভ, ঔদ্ধত্য, অহংকার নেই। আমাকে যদি মাথা নত করতে হয় তাহলে সাধারণ মানুষের সামনে মাথা নত করব। আমার বাবা, মা স্ত্রী, পুত্র, কন্যা কাউকে ছাড়েনি হেনস্থা করতে। কাউকে ছাড়েনি। কিন্তু আমি বলেছিলাম আমার মাথা কেটে নিলেও আমি তোমাদের সামনে মাথা নত করব না। মাথা নত যদি করতে হয়, মানুষের কাছে করব। বিজেপির কাছে নয়।"
অভিষেক এও বলেন, "আপনারা দেখবেন আপনাদের এলাকায় কোনA ভদ্রলোক বিজেপি করে না, সব মদখোর মাতাল বিজেপি করে!" তাঁর অভিযোগ,. রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার বুথে প্রায় ৪০ কোটি টাকা বিজেপি শুধু মদ খাওয়ার জন্য খরচ করেছে।