শেষ আপডেট: 20th August 2024 21:45
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে সিট গঠন করেছে নবান্ন। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা ও দুর্নীতি দমন আইনে মামলা রুজু করেছে টালা থানা। এমন পরিস্থিতিতে সন্দীপ ঘোষের দুর্নীতি নিয়ে সংবাদ মাধ্যমে বিস্ফোরক দাবি করলেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার, বর্তমানে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের ডেপুটি সুপার আখতার আলি।
সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ সম্পর্কে তথ্য জানতে মঙ্গলবার আখতার আলিকে তলব করেছিল স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে ঢোকার সময় একটি টিভি চ্য়ানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর বেনিয়মের অভিযোগ এনেছেন আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার।
প্রসঙ্গত, গত বছর জুলাই মাসে দুর্নীতি বিরোধী ব্যুরো, ভিজিল্যান্স কমিশন এবং স্বাস্থ্যভবনে আরজি করের তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়েছিলেন আখতার আলি।
এদিন তিনি বলেন, "নিজের দুর্নীতির রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে উনি হাসপাতালটাকে শুড়ি খানা বানিয়ে ছিলেন। হাসপাতালের গেস্ট হাউসে ছাত্রদের মদ্যপান করাতেন। এদিকে হাসপাতালের যে কোনও কাজের টেন্ডারে ২০ শতাংশ করে নিতেন। এমনকী ক্যান্টিন, স্টল, সুলভ শৌচালয়গুলিকে টাকার বিনিময়ে অন্যদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন।"
আখতার আরও বলেন, "একদিন অন্তর হাসপাতালের ব্যবহার হয়ে যাওয়া সিরিঞ্জ, স্যালাইনের বোতল, রবার গ্লাভস, হ্যান্ড গ্লাভস মিলিয়ে প্রায় ৫০০ থেকে ৬০০ কেজি মাল বেরোত। এগুলোতেও দুর্নীতি করতেন সন্দীপ ঘোষ। একটা ব়্যাকেট বানিয়ে নিয়েছিলেন, তাতে যুক্ত ছিলেন দু'জন বাংলাদেশিও। তাঁরা এখান থেকে মালগুলো বাংলাদেশে নিয়ে যেত রিসাইকেল করার জন্য।"
এখানেই শেষ নয়! আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারের আরও অভিযোগ, "ওই সময় আমরা কয়েকজন এটা নিয়ে চিৎকার করাতে চাপে পড়ে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। আমিও ছিলাম তদন্ত কমিটিতে। যেদিন আমরা তদন্ত রিপোর্ট জমা দিলাম, সেদিনই আমি বদলি হয়ে গেলাম। পরে তদন্ত কমিটির বাকি দু'জনকেও বদলি করে দেয়। সেই রিপোর্ট আজও সামনে আসেনি।"
ইতিমধ্যে ডাক্তারি ছাত্রী খুনের ঘটনা নিয়ে প্রশ্নে মুখে সন্দীপ ঘোষ। আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমেছে সিবিআই। শনিবার থেকে লাগাতার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখোমুখি হতে হচ্ছে প্রাক্তন অধ্যক্ষকে। তারই মাঝে আরজি করের প্রাক্তন ডেপুটি সুপারের অভিযোগ সন্দীপবাবুর বিড়ম্বনা আরও বাড়ল বলেই মনে করা হচ্ছে।