শেষ আপডেট: 24th January 2025 17:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বিষাক্ত স্যালাইন কাণ্ডে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে এবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের দু'জন চিকিৎসককে ভবানীভবনে জেরা শুরু করলেন রাজ্যের গোয়েন্দা কর্তারা।
জানা যাচ্ছে, ওই দুই চিকিৎসকের নাম দিলীপ কুমার পাল ও হিমাদ্রী নায়েক। প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৩ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এফআইআর জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। দিলীপ পাল এবং হিমাদ্রী নায়েক তাদেরই অন্যতম।
অভিযোগ, ঘটনার দিন হাসপাতালের রেজিস্টারে সই থাকলেও সশরীরে উপস্থিত ছিলেন না ওই দুই চিকিৎসক। অভিযোগ, সপ্তাহের অধিকাংশ দিনই সিনিয়ররা হাসপাতালে থাকেন না, জুনিয়রদের দিয়ে অপারেশন করানো হয়। এদিন এই সংক্রান্ত বিষয়েই ওই দুই চিকিৎসককে জেরা করছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে স্যালাইন কাণ্ডে সিআইডি তদন্ত নিয়েই পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন আরজি করের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা। অনিকেত মাহাতো, আসফাকুল্লা নাইয়ারদের প্রশ্ন, "স্যালাইন বা অন্য কোনও ওষুধের প্রভাবে ঘটনা ঘটলে তার সঙ্গে চিকিৎসকদের কী সম্পর্ক? পরিকাঠামোগত সমস্যা সিআইডি বা কীভাবে খতিয়ে দেখবে? আসলে আসল ঘটনাকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে।"
যদিও ঘটনার পরই স্বাস্থ্য দফতরের তরফে হাসপাতালের গাফিলতির বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছিলেন খোদ মুখ্যসচিব। পরে এবিষয়ে ১২ জন চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার পাশাপাশি বড় প্রশ্নও তোলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'যাঁরা সেদিন দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের অনেকেই নিজেদের ডিউটি পালন করেননি। এটা বরদাস্ত করা হবে না।" মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, 'মানুষের জবাব চাওয়ার অধিকার আছে। যেখানে অন্যায় হয়, সেখানে কথা উঠবেই। আমরা যেমন চিকিৎসকদের প্রতি সহানুভূতিশীল, তেমনি মানুষের দিকটাও দেখতে হবে।" ওই ঘটনার তদন্তেই এবার মেডিক্যালের দুই চিকিৎসককে জেরা শুরু করলেন গোয়েন্দারা।